ঢাকা, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ (বৃহস্পতিবার) ঃ ইউপিডিএফ (মূল) এর একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী অস্বাভাবিক ও অন্যায়ের পথ ছেড়েদিয়ে সুস্থ্যা, স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ জীবনে ফিরে এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার (০৬-১২-২০১৮) আনন্দ চাকমা ওরফে পরিচিত চাকমা, পিতাঃ মনরঞ্জন চাকমা, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি সেনাবাহিনীর কাছে একটি বিদেশী পিস্তল ও তিন রাউন্ড এ্যামুনেশনসহ আত্নসমার্পনের মধ্য দিয়ে তার এই স্বাভাবিক জীবনে ফেরার শুভ সূচনা করে। এরপর দুপুর দুইটায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরিচিত চাকমা তার এই সন্ত্রাসী জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।
জানা যায়, আনন্দ চাকমা ওরফে পরিচিত চাকমা ৩৬ বছর ধরে শান্তি বাহিনী এবং জনসংহতি সমিতির তথাকথিত আন্দোলনের সাথে যুক্ত আছেন। সর্বশেষ গত ৪ বছর ধরে তিনি ইউপিডিএফ (মূল) এর নানিয়ারচর সার্কেলের বিচার ও সাংগঠনিক পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। সংগঠন ছেড়ে আসার কারণ হিসেবে তিনি ইউপিডিএফ এর আদর্শ ও নীতিহীনতাকে দায়ীকরেন। তারমতে, ইউপিডিএফ একটি আদর্শ ও নীতিহীন সন্ত্রাসী সংগঠন। গুম, খুন, হত্যা ও অপহরণই আজকের ইউপিডিএফ এর আসল কাজ। ইউপিডিএফ প্রধানসহ সকল নেতাকর্মী রক্তের নেশা ও ক্ষমতার মোহে পড়ে আছে বলে তিনি মনে করেন। এছাড়াও তিনি বলেন, ইউপিডিএফ এর কাছে স্বজাতীয় কোন ভাইবোন ও নিরাপদ নয়। তাদের সাথে মতের অমিল থাকার কারণে বর্মা ও শক্তিমান চাকমাসহ অনেককেই ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা নৃশংস ভাবে খুন করেছে।
পরিচিত চাকমা বলেন, পাহাড়ে রমা বোনেরা ও ইউপিডিএফ এর পাশবিকতায় আজ বিপযস্ত। সম্প্রতি ইউপিডিএফ এর নির্যাতনের স্বীকার রাঙ্গামাটির মিতালী চাকমার প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, আমারও ডিগ্রী পড়ুয়া একটি মেয়ে আছে তার ভবিষ্যৎ নিয়েও আমি শঙ্কিত। এ সকল কারণে তিনি সন্ত্রাসের জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন এবং তার মত অনেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইলেও প্রাণ ভয়ে ফিরে আসতে পারছেন না বলে তিনি জানান। পরিশেষে সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তিনি নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চান এবং বাকি জীবনটা একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে সুখে শান্তিতে অতিবাহিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অস্ত্র সমর্পন ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলো ইউপিডিএফ (প্রসীত) এর শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচিত চাকমা
২৫২