ঢাকা, ১০ জানুয়ারি:- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকীর ক্ষণগণনা উদ্যাপন উপলক্ষে আজ শুক্রবার (১০-১-২০২০) ঢাকার তেজগাঁওস্থ পুরাতন বিমান বন্দরের জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক তত্ত¡াবধানে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ——————– (ভাষণের কপি সংযুক্ত) ———– ।
বঙ্গব›ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তরাজ্যের রাজকীয় বিমান বাহিনীর একটি বিমানে এসেছিলেন সে রকমভাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে সম্প্রতি সংযোজিত যুক্তরাজ্যের রাজকীয় বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ জে বিমান বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে অবতরণের মাধ্যমে ঐতিহাসিক মুহুর্তকে পুনরাবৃত্তি করা হয়। ক্ষণগণনার জন্য তেজগাঁও বিমান বন্দর এলাকায় একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড এর মাধ্যমে অনুরূপ ঘড়ি দেশব্যাপী উল্লেখযোগ্য স্থানে একযোগে দৃশ্যমান রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সকল ঘড়ির ডিজিট মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে। আগামী ১৭ মার্চ ২০২০ মধ্যরাতে সকল ঘড়ির ডিজিট শুন্য হয়ে যাবে। আয়োজিত ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে প্যারেড স্কোয়ারের উপযুক্ত স্থানে বড় এলইডি স্ক্রীনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় ধারনকৃত ঐতিহাসিক মুহুর্তের ভিডিও এবং স্থিরচিত্রসমূহ প্রদর্শন করা হয়। বিমানটি অবতরণের পর ট্যাক্সি করে টারমাক এলাকায় পৌঁছানো শেষে বিমানের দরজা খোলার সাথে সাথে ২১ বার তোপধ্বনি প্রদান করা হয়। বিমানটি টারমাকে থামার নির্দিষ্ট স্থানে সিঁড়ি ও ফ্লোরে লাল গালিচায় সাজানো হয়। বিমানের দরজা খোলা হলে লেজার লাইটের মাধ্যমে দরজার কাছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি আলোকিত করা হয় এবং সে আলো সিঁড়ি থেকে আস্তে আস্তে লাল গালিচার মাথায় এসে থেমে যায়, যা বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে আলোকবর্তিকা হয়ে এসেছিলেন তাঁরই প্রতিফলন হয়। লেজার আলো দৃশ্যমান হওয়া মাত্র উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন । এই সময় স্কুলের ছাত্র ও ছাত্রীরা ফুলের পাপড়ি বর্ণিত আলোর বর্তিকার উপর ছড়িয়ে দেয়। এর পর পরই সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় এবং জাতীয় সংগীতের বাদ্য পরিবেশিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় সম্মতিক্রমে তাঁর মাধ্যমে সুইচ চাপার সাথে সাথে তেজগাঁও বিমান বন্দরে স্থাপিত ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড এ ক্ষণগণনা শুরু হয় এবং প্রচুর সংখ্যক কবুতর অবমুক্ত করা হয় ও বেলুন উড়ানো হয়। একই সঙ্গে দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ক্ষণগণনা শুরু হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য প্রদানের পরে বোতাম টিপে ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত লোগো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং কমিটির সদস্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদের স্পীকার, মন্ত্রিবর্গ, প্রতিমন্ত্রীগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সংসদ সদস্য, তিনবাহিনী প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ, বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দ, সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রী এবং বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।