চট্টগ্রাম, ২০ ডিসেম্বর ২০২১:গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও টেলিকনফারে›েসর মাধ্যমে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে অনুষ্ঠিত মিডশীপম্যান ২০১৯/এ ব্যাচ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২১/বি ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অবলোকন এবং সালাম গ্রহণ করেন। আজ সোমবার (২০-১২-২০২১) অনুষ্ঠিত উক্ত কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০১৯/এ ব্যাচের ৩৬ জন মিডশীপম্যান এবং ২০২১/বি ব্যাচের ৮ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৪৪ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন। এদের মধ্যে ৫ জন মহিলা মিডশীপম্যান এবং ২ জন মহিলা ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার রয়েছেন।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল (Admiral M Shaheen Iqbal) বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারীদের হাতে পদক তুলে দেন। সদ্য কমিশনপ্রাপ্তদের মধ্যে মিডশীপম্যান ২০১৯/এ ব্যাচের মোঃ মোহতাসিম সিফাত সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জন করে সেরা চৌকস মিডশীপম্যান হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন। এছাড়া মিডশীপম্যান আলিফ আব্দুল্লাহ প্রশিক্ষণে ২য় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে ‘নৌ প্রধান স্বর্ণ পদক’ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২১/বি ব্যাচ হতে এ্যাক্টিং সাব লেফটেন্যান্ট মোঃ আব্দুল মমিন শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণ পদক’ অর্জন করেন।
ভিডিও টেলিকনফারে›েসর মাধ্যমে কুচকাওয়াজ অবলোকনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স¥রণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার দায়িত্বভার গ্রহণের পর জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে নৌবাহিনীকে একটি যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংযোজন এবং বিদ্যমান জাহাজসমূহের অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি সমুদ্র সম্পদকেও যেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানো যায় এলক্ষ্য নিয়েই সরকার ব্লু-ইকনোমির বিভিন্ন কর্মকান্ডের গুরুত্ব আরোপ করেছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফ্টসহ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়া নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে আরও উন্নততর জাহাজ এবং আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পেকুয়ায় স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি বানৌজা শেখ হাসিনা নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত শিপইয়ার্ড ও ডকইয়ার্ডসমূহ ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক জাহাজের পাশাপাশি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, নবীন কর্মকর্তারা নেভাল একাডেমি থেকে অর্জিত জ্ঞান যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে। তিনি পেশা হিসেবে দেশ সেবার এ পবিত্র দায়িত্বকে বেছে নেয়ায় নবীন কর্মকর্তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। সেইসাথে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অটুট রাখার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নবীন কর্মকর্তারা কাজ করে যাবে বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ………………………………. (প্রধানমন্ত্রী ভাষণের কপি সংযুক্ত)।
রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং শিক্ষা সমাপনী ব্যাচের অভিভাবকগণ উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।