ঢাকা, ১৫ ফেব্রæয়ারিঃ- ১৫ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ তারিখে (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ৫৫তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। ১৯৬৯ সালের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর বাঙ্গালী সদস্য সার্জেন্ট জহুরুল হক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ঢাকা সেনানিবাসে আটক অবস্থায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক নিহত হন। সার্জেন্ট জহুরুল হক ছিলেন একজন স্বাধীনচেতা দেশপ্রেমিক সৈনিক। ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক আরোপিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রাখা হয়। পরবর্তীতে ১৭ জানুয়ারি ১৯৬৮ তারিখে উক্ত মামলার নামকরণ করা হয় ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য’। এই মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১ নম্বর এবং শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক- কে ১৭ নম্বর আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে এয়ারফোর্স এ্যাক্ট অনুযায়ী সার্জেন্ট জহুরুল হক- কে ঢাকা সেনানিবাসে বন্দী রাখা হয়। ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানের উত্তাল আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। কিন্তু এসময়ই ১৫ ফেব্রæয়ারি ১৯৬৯ তারিখে সার্জেন্ট জহুরুল হক ঢাকা সেনানিবাসে আটক অবস্থায় পাকিস্তানি সৈনিকের গুলিতে নৃশংসতম হত্যার শিকার হন। দেশের মুক্তির লক্ষ্যে তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের একটি ছাত্র হল এর নামকরণ করা হয় ‘সার্জেন্ট জহুরুল হক হল’ এবং ১৯৮২ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটির নামকরণ করা হয় ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক’। ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্র্তৃক স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক এর মৃত্যুদিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামস্থ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক এর কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ যোহর এক মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদ শেষে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। উক্ত মিলাদ মাহফিলে ঘাঁটি এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম শফিউল আজম, ওএসপি, জিইউপি, এনডিসি, পিএসসি, ঘাঁটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিমানসেনা এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
৩৯৫