ঢাকা, ৮ মার্চ:- বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বার্ষিক শীতকালীন মহড়া ‘উইনটেক্স-২০২২’ মঙ্গলবার (০৮-০৩-২০২২) সমাপ্ত হয়েছে। সমাপনী দিনে বিমান বাহিনী প্রধান বঙ্গবন্ধু ঘাঁটি, বাশার ঘাঁটি সহ মহড়ার বিভিন্ন কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এই মহড়াটি ‘এয়ার কমান্ড অপারেশন সেন্টার’ (ACOC) এর সার্বিক পরিকল্পনা ও পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লিখিত মহড়ায় বিমান বাহিনীর বৈমানিকগণ আকাশ যুদ্ধের বিভিন্ন প্রকার রণকৌশল অনুসরণপূর্বক ফাইটার বিমানের মাধ্যমে এয়ার অ্যাটাক, ইন্টারসেপশন, আকাশ থেকে শত্রু কবলিত স্থান পর্যবেক্ষণ, রশদ সরবরাহ, সৈন্য ও যুদ্ধাস্ত্র স্থানান্তর, স্পেশাল অপারেশন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার মিশন সহ সকল ধরনের কলাকৌশল অনুশীলন করেন। আকাশ যুদ্ধ ছাড়াও ভূমিতে ঘাঁটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট সকল অনুশীলন করা হয়। ‘উইনটেক্স-২০২২’ এর সমাপনী দিনে অন্যান্য যুদ্ধ অনুশীলনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল Air Defence Alert (ADA) এ কর্তব্যরত যুদ্ধ বিমান দ্বারা ‘স্ক্র্যাম্বলিং’ এর মাধ্যমে আকাশ সীমায় অনুপ্রবেশকারী শত্রু বিমান প্রতিহত করা এবং যুদ্ধকালীন সংঘাতপূর্ন এলাকায় আহত সৈনিক কিংবা ভূপাতিত বৈমানিককে এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং বিমান বাহিনীর কমান্ডো দল কর্তৃক Combat search & Rescue (SAR) মিশন পরিচালনা করে উদ্ধার করা। সমাপনী দিনে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিকল্পনা) এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক, বিবিপি, বিএসপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি ‘উইনটেক্স-২০২২’ এর বিভিন্ন অনুশীলনের দিক সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবগত করেন।
তিনদিন ব্যাপী এ মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিদ্যমান সমরাস্ত্রের কার্যকরী যুদ্ধ সক্ষমতা মূল্যায়ন করে এর দুর্বল দিকসমূহ নির্ণয় করতঃ গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়। এ সকল গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ভবিষ্যতে আরো উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে এবং বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা উন্নয়নে বিশেষ সহায়ক হবে। মহড়াটি বিমান বাহিনীর সকল ঘাঁটি, স্টেশন ও ইউনিট ছাড়াও সিলেট, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট, শমশেরনগর, বরিশাল, রসুলপুর, সুধারাম সহ সারা বাংলাদেশে গত ০৬ মার্চ ২০২২ তারিখ হতে পরিচালিত হয়। ‘উইনটেক্স-২০২২’ মহড়ায় বিমান বাহিনীর সকল প্রকার যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার ও র্যাডার স্কোয়াড্রন এবং মিসাইল ইউনিটসহ সকল যুদ্ধাস্ত্র ও সদস্য অংশগ্রহণ করছে। উল্লেখ্য যে, মহড়াটিকে আরও ফলপ্রসু এবং বাস্তবতা প্রদানের জন্য ও অন্যান্য বাহিনীর সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় কল্পে স্বল্প পরিসরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, সিভিল ডিফেন্স এবং বিএনসিসি (এয়ার উইং) এ মহড়ায় অংশগ্রহণ করে।