ঢাকা, ১৩ মার্চঃ- বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মহিলা কল্যাণ সমিতি (বাফওয়া)-এর সম্মানিত সভানেত্রী ইয়াসমিন জামান এর সুচিন্তিত দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মহিলা কল্যাণ সমিতি কর্তৃক আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আজ শনিবার (১৩-০৩-২০২১) বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ দিন একই সময়ে এবং একই কর্মসূচীর আওতায় দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে বাফওয়ার অন্যান্য আঞ্চলিক শাখাসমূহকেও ভিডিও টেলিকনফারেন্স-এর মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়। বাফওয়া কেন্দ্রীয় পরিষদের উদ্যোগে ঢাকা এলাকায় বসবাসকারী বিমান বাহিনী সদস্যগণের পতœী এবং মহিলা কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে বিমান বাহিনী শাহীন হল, ঢাকায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২১ এর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাফওয়ার সম্মানিত সভানেত্রী ইয়াসমিন জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তিনি নারী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে একটি সুখী ও সমৃদ্ধিশালী বিমান বাহিনী পরিবার তথা সমাজ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নারীদের ভূমিকা উল্লেখ করে মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন।
এছাড়াও, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি বক্তা বাংলাদেশের স্বনামধন্য কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ড. মেহতাব খানম বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রাত্যহিক জীবনে নারীর চ্যালেঞ্জ, সমাজ উন্নয়নে নারীর ভূমিকা, বর্তমান পরিস্থিতিতে কিভাবে নারীরা মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারে এবং নানাবিধ সামাজিক সমস্যা সমাধানকল্পে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। এ পর্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাফওয়া কেন্দ্রীয় পরিষদ, বাফওয়া আঞ্চলিক শাখা বঙ্গবন্ধু ও বাশার এবং ভিডিও টেলিকনফারেন্স-এর মাধ্যমে যুক্ত বাফওয়া আঞ্চলিক শাখা জহুরুল হক, মতিউর ও পাহাড়কাঞ্চনপুর-এর সদস্যাগণ বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করলে অতিথি বক্তা তাঁর মূল্যবান পরামর্শসহ যৌক্তিক সমাধান তুলে ধরেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বাফওয়া কর্তৃক প্রকাশিত স্মরণিকা ‘অভ্রনীল’-এর ২য় সংখ্যার উন্মোচন করা হয়। এ উপলক্ষে বাফওয়ার সম্মানিত সভানেত্রী বলেন যে, এই স্মরণিকাটি বাফওয়ার সার্বিক কর্মকান্ডের দর্পন স্বরূপ এবং এর মাধ্যমে বিমান বাহিনী সদস্যাবৃন্দের পরিবার এবং সন্তানদের মননশীলতা ও সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগ ফুটে ওঠেছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, বাফওয়ার কর্মকান্ডে জড়িত থাকার পাশাপাশি স্মরণিকা প্রকাশে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সংগঠনের সদস্যরা যে কর্মস্পৃহা ও আন্তরিকতা প্রদর্শন করেছে, তার জন্য তিনি সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি, তিনি স্মরণিকায় প্রকাশিত লেখার জন্য লেখক/লেখিকাদের মাঝে সম্মানি প্রদান করেন। পরিশেষে বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং নারী দিবসের আবহ নিয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।