কক্সবাজার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ঃ কক্সবাজার এরিয়ায় নবপ্রতিষ্ঠিত ০৭ টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান আজ বৃহস্প্রতিবার (০৯-০২-২০১৭) রামু সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
০৭ টি ইউনিটের মধ্যে ১৬ ক্যাভ্যালরি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন সেনাবাহিনী প্রধান। অন্যান্য ইউনিটের মধ্যে ৪১ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৯ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট, ৫০৯ ডিভিশন অর্ডন্যা›স কোম্পানি, ১০ সতন্ত্র এ্যামিউনিশন প্লাটুন, ৯ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন এবং এরিয়া সদর দপ্তর কক্সবাজার এর পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেঃ জেনারেল আনোয়ার হোসেন, চীফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেঃ জেনারেল সাব্বির আহমেদ, মাস্টার জেনারেল অব অর্ডন্যা›স (এমজিও) মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম খান, জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন মেজর জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটিজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আব্দুর রহমান এবং জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন এর মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান।
সেনাবাহিনী প্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান তাকে অভ্যর্থনা জানান। অতঃপর প্যারেড কমান্ডার মেজর এরশাদ হোসেন চৌধুরী এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি চৌকশ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করেন।
উপস্থিত সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে সেনাবাহিনী প্রধান সকলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃংখল, দক্ষ ও যোগ্য সেনাসদস্য হিসেবে গড়ে উঠার মাধ্যমে সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। সেই সাথে পেশাদারিত্বের কাঙ্খিত মান অর্জনের মাধ্যমে আভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যে কোন হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। তিনি আরো বলেন, অত্র এলাকায় ১০ পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সার্বিক সামাজিক উন্নয়নের যে আকাঙ্খা সুচিত হয়েছে, তার সফল বাস্তবায়নে ১০ পদাতিক ডিভিশনের প্রতিটি সদস্য এগিয়ে আসবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা উর্দ্ধতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ¡াস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃংখলা বজায় রেখে নিজ নিজ কর্তব্য পালন করে যাবেন। ১০ পদাতিক ডিভিশনের আরো কিছু নবগঠিত ইউনিটের যাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়ন রূপকল্প ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক উম্মোচিত হলো।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান রামু সেনানিবাসের নির্মাণাধীন “শেকড়” নামে দশ দিগন্ত যাদুঘরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সামরিক ও অসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার রামুতে দুই বছর পূর্বে ১০ পদাতিক ডিভিশন গঠিত হয়। নবপ্রতিষ্ঠিত রামু সেনানিবাসকে পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল নতুন এ ৭টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।