বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ২৯ মে ২০১৮ (মঙ্গলবার) যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপিত হয়। এবছর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদশেী শান্তরিক্ষী সদস্যদরে গৌরবময় অংশগ্রহণরে ৩০ বছর র্পূতি উপলক্ষে এবং বিশ্বের সকল দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক, জাতিসংঘের মহাসচিব এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
শান্তিরক্ষী দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৯ মে ২০১৮ (মঙ্গলবার) বেলা ১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকট-আত্মীয় এবং আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদশেী শান্তরিক্ষীদের অংশগ্রহণরে ৩০ বছর র্পূতি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি একটি স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন। এছাড়া সেনাপ্রধান মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদশেী শান্তরিক্ষীদের অংশগ্রহণরে ৩০ বছর র্পূতির মনোগ্রাম সম্বলিত ক্রেস্ট উপহার হিসাবে প্রদান করেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে বলেন ———————————- (ভাষণের কপি সংযুক্ত)———————————————।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরুর পর শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকালীন শাহাদাতবরণকারীদের জন্য এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আবুল হাসান মাহমুদ আলী বক্তব্য রাখেন। এছাড়া জ্যেষ্ঠতম শান্তিরক্ষী হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক (General Abu Belal Muhammad Shafiul Huq) বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী ময়িা সপ্পেো। পরে, শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত থিম/ডকুমেন্টারী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং এবিষয়ে বিপস্ট এর অবদান তুলে ধরা হয়। এছাড়া মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীপরিষদের সদস্যগণ, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ (Admiral Nizamuddin Ahmed) এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার (Air Chief Marshal Abu Esrar), সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ মাহফুজুর রহমান (Lt General Md Mahfuzur Rahman) পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিবগণ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণ, বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সকাল ৭টায় ঢাকার তেজগাঁওস্থ পুরাতন বিমান বন্দর মসজিদ কমপেক্সে এবং অন্যান্য বিভাগীয় শহরে “পিসকীপার্স রান (PeaceKeepers Run)” এর মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে “পিসকীপার্স রান ” উদ্বোধন করেন। পিসকীপার্স রানে অংশগ্রহণ করেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের শান্তিরক্ষীগণ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তঃবাহিনী সংস্থাসমূহের মনোনীত প্রতিনিধিগণ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীসহ আনুমানিক ৮৭০ জন সদস্য।
উল্লেখ্য, দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশেষ জার্নাল ও বিভিন্ন দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয় এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে বিশেষ টক-শো প্রচারিত হয়। এছাড়াও শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে ।