ঢাকা, ০১ এপ্রিল ২০১৮ ঃ মালিতে শহীদ আরও ১ জন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীর জানাজা আজ রবিবার (০১-৪-২০১৮) ঢাকা সেনানিবাসে ১৩ এমপি ইউনিটের ‘চপার্স ডেনে’ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জানাজায় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক (Abu Belal Muhammad Shafiul Huq) সহ ঢাকা সেনানিবাসের উধর্¡তন কর্মকর্তাগণ ও সকল পদবীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানাজার পর সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ (Nizamuddin Ahmed), ভারপ্রাপ্ত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরেনিয়াবাত (Masihuzzaman Serniabat) এবং মিনুসমা ফোর্স প্রভোস্ট মাশাল কর্নেল মোহাম্মদ গালাল খলিল শেমি (Col Mohammed Gala Khalil Shemi) শহীদদের সম্মানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর শহীদ শান্তিরক্ষীর মরদেহ গ্রামের বাড়ী কুড়িগ্রামে প্রেরণ করা হয়। সেখানে সম্পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।
সেনাসদস্যদের মরদেহ গত ৩১ মার্চ বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এসে পৌঁছায়। মালিতে নিয়োজিত জাতিসংঘের ফোর্স প্রভোস্ট মাশাল কর্নেল মোহাম্মদ গালাল খলিল শেমি উক্ত বীর শান্তিরক্ষীকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য নিজেই মরদেহের সাথে বাংলাদেশে আগমন করেন।
উল্লেখ্য, ব্যানব্যাট-৪ এর একটি লজিস্টিক কনভয় এস্কর্ট (নিরাপত্তা দল) গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ তারিখে গাঁও হতে মপতি যাওয়ার পথে বোনি-দোয়েঞ্জা সড়কে দোয়েঞ্জা হতে ৩৫ কিঃমিঃ পূর্বে সন্ত্রাসীদের পুঁতে রাখা শক্তিশালী ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইজ (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটলে সৈনিক মো: রাশেদুজ্জামান গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সেনেগালের রাজধানী ডাকার প্রেরণ করা হয়। সেখানেই তিনি গত ২০ মার্চ ২০১৮ তারিখ মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত বিস্কোরণে একই কন্টিজেন্টের আরও চারজন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী শাহাদাৎ বরণ করেন।
মালিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনটি বর্তমান বিশে¡র সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মিশন হিসেবে বিবেচিত। ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই মিশনে ইতোমধ্যে ১০ জন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীসহ বিভিন্ন দেশের সর্বমোট ১৫৬ জন শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশের দুঃসাহসী শান্তিরক্ষীরা সর্বদা দেশের সম্মানের বিষয়টি মাথায় রেখে ঝুঁকিপূর্ণ এই মিশনে জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন।
আফ্রিকার মালিতে শহীদ আরও ১ বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীর জানাজা অনুষ্ঠিত
১৭০