ঢাকা ২২ মে ঃ- ‘In Aid to Civil Power’ এর আওতায় জাতীয় যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জরুরী বিমান পরিবহন এবং মেডিক্যাল ইভাকোয়েশন সহায়তা প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি এর দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জরুরী বিমান পরিবহন সহায়তার অংশ হিসেবে শুক্রবার ২২-০৫-২০ ত্রাণ ও ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান, এমপি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও গণমাধ্যম কর্মীরা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ০১টি এমআই-১৭এসএইচ হেলিকপ্টার এবং ০১টি অগাস্টা-১৩৯ হেলিকপ্টার এর মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপদ্রুত সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও ভাষানচর এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের উদ্দেশ্যে পরিদর্শন করেন। সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও ভাষানচর এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে এই পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে গণমাধ্যম কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার ফটো ও ভিডিও চিত্র ধারণ করেন যার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠে। গণমাধ্যম কর্মীদের পরিদর্শন রিপোর্ট কর্তৃপক্ষকে আম্ফান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মেডিক্যাল ইভাকোয়েশন সহায়তা প্রদানের ধারাবাহিকতায় বিমান বাহিনীর ১১৯ জন সদস্য যারা আম্ফান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরায় অবস্থান করছেন তারা আজ ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপদ্রুত সাতক্ষীরার দক্ষিণ আলিপুর এলাকার মানুষদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তারা সেখানে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ির উপর উপড়ে পড়া গাছপালা সরিয়ে রাস্তাঘাট চলাচল উপযোগী এবং ঘরবাড়ি মেরামতের কাজে সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপদ্রুত এলাকার মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নিমিত্তে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, জেনারেটর, ওয়াটার কন্টেনার, ইলেকট্রিক মোটর পাম্প সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়েছে।
আম্ফান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বিমান বাহিনী র্যাডার ইউনিট, মৌলভীবাজার এবং বিমান বাহিনী স্টেশন শমশেরনগর এলাকার এতিম শিশুদের মাঝে আজ মানবিক সহায়তা হিসেবে উপযুক্ত প্যাকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ০৬টি পরিবহন বিমান এবং ২৯টি হেলিকপ্টার সবদা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার এ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেল গঠন সহ বিমান বাহিনীর সকল ঘাঁটিতে ২৪ ঘন্টা প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রদানের জন্য অপস্ রুম খোলা আছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাতীয় যেকোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।