ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি ঃ- বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত ২টি কন্টিনজেন্টের মোট ২৫২ জন শান্তিরক্ষী প্রতিস্থাপন করছে। বর্তমানে কঙ্গোতে অবস্থানরত ২টি কন্টিনজেন্ট নতুন ২টি কন্টিনজেন্ট দ্বারা প্রতিস্থাপনের অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর ১৫৩ জন সদস্য জাতিসংঘের ভাড়াকৃত একটি বিমানে (ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স) ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে (শনিবার) কঙ্গোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। কন্টিনজেন্টের বাকি সদস্যরা আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে কঙ্গো গমন করবেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই কন্টিনজেন্টগুলো ইউটিলিটি এভিয়েশন ইউনিট-২০ ও এয়ার ট্রান্সপোর্ট ইউনিট-১৩ নিয়ে গঠিত যার নেতৃত্বে থাকবেন যথাক্রমে এয়ার কমডোর খান মোঃ মাহমুদুল হক, জিইউপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মাহবুব আহমদ চৌধুরী, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। উল্লেখ্য, কঙ্গোয় বিবাদমান সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সে দেশের সরকার এবং আপামর জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের অর্জিত এ সুনাম ও সাফল্য অক্ষুন্ন রেখে শান্তিরক্ষীরা ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে যেন আরো উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারেন, এ কামনা করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এক মোনাজাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক, বিবিপি, বিএসপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি বিমান বন্দরে উপস্থিত থেকে তাদেরকে বিদায় জানান। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, বিবিপি, বিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এফএডব্লিউসি, পিএসসি কঙ্গোগামী বিমান বাহিনী কন্টিনজেন্ট সমূহের সদস্যদের উদ্দেশ্যে ঘাঁটি বাশার-এ ব্রিফিং প্রদান করেন এবং মিশনের সাফল্য কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। এসময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদেরকে সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার আহবান জানান।