ঢাকা, ০৭ নভেম্বর ২০২১ঃ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নড়াইলের চিত্রা নদীতে ‘শেখ রাসেল ১৮তম জাতীয় দূরপাল্লা সাঁতার প্রতিযোগিতা-২০২১’ আজ রবিবার (০৭-১১-২০২১) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, এনবিপি, এনইউপি, এনডিসি, এএফডবিøউসি, পিএসসি। প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় ও নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ জাতীয় সুইমিং ফেডারেশনের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা, বিপুল সংখ্যক সাঁতারু ও সাধারণ দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নির্বাচিত বিভিন্ন বয়সের ৭ জন পুরুষ সাঁতারু এবং ৭ জন মহিলা সাঁতারু অংশগ্রহণ করে। পুরুষ সাতারুরা চিত্রা নদীর নায়েরবাড়ী ঘাট হতে শুরু হয়ে রূপগঞ্জ বাঁধাঘাট পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সাঁতারে অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় সেনাবাহিনীর ফয়সাল আহমেদ ১ ঘন্টা ৩ মিনিট ১৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম স্থান ও নৌবাহিনীর পলাশ চৌধুরী ১ ঘন্টা ৪ মিনিট সময় নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এবং নৌবাহিনীর কাজল মিয়া ১ ঘন্টা ৫ মিনিট সময় নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে। অন্যদিকে, চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৭ জন মহিলা সাঁতারু জেলার চিত্রা নদী রতভাঙ্গা ঘাট হতে শুরু হয়ে রূপগঞ্জ বাঁধাঘাট পর্যন্ত প্রায় ০৮ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে নৌবাহিনীর সোনিয়া আক্তার, ৫৮.৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে, সেনাবাহিনীর মুক্তি খাতুন ১ ঘন্টা ৪৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এবং নৌবাহিনীর সুরাইয়া আক্তার ১ ঘন্টা ২ মিনিট ৪০ সেকেন্ট সময় নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
প্রধান অতিথি তাঁর ভাষণে বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে দেশে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে। নদীমাতৃক এই বাংলাদেশে মানুষ ছোটবেলা থেকেই এক একজন সাঁতারু। সুপ্ত প্রতিভাগুলোকে খুঁজে বের করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এধরণের উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন নতুন সাঁতারু খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ২০২১ সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্স, মিরপুর, ঢাকায় উন্মুক্ত বাছাইয়ের মাধ্যমে ৬ জন পুরুষ সাঁতারু এবং ৬ জন মহিলা সাঁতারু চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়।