ঢাকা, ০১ জানুয়ারি ২০১৭ ঃ “পদ্মা সেতু রেল সংযোগ’ প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (সিএসসি) সেলকে সুপারভিশন পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রবিবার (০১-০১-২০১৭) রেল ভবনে উভয় সংস্থার মধ্যে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রেলমন্ত্রী মজিবুল হক ও বিশেষ অতিথি হিসাবে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক (General Abu Belal Muhammad Shafiul Huq) উপস্থিত ছিলেন। রেলমন্ত্রী তাঁর ভাষণে আশা প্রকাশ করেন, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ন্যায় এ প্রকল্পে সেনাবাহিনীর অর্ন্তভূক্তির ফলে যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এছাড়া, তিনি সেনাবাহিনীর পেশাদায়িত্বের প্রশংসা করেন। সেনাপ্রধান তাঁর ভাষণে বলেন, (————— ভাষণের কপি সংযুক্ত———————————-)।
চুক্তি স্বাক্ষর করেন রেলওয়ের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক সুকুমার ভৌমিক ও সেনাবাহিনীর পক্ষে সিএসি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক কর্নেল আবুল কালাম আজাদ। এসময় সেনাবাহিনী ও রেলওয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনী বিআরটিসি ও বুয়েটকে সাথে নিয়ে এ কাজটি সম্পাদন করবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট তথ্যঃ
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ভাংগা, নড়াইল হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিঃ মিঃ সিঙ্গেল লাইন ব্রড গেজ রেললাইন স্থাপন বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্প। এ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ১৭২ কি. মি. ব্রডগেজ সিঙ্গেল রেললাইন ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মানসহ ১৪ টি নতুন স্টেশন বিল্ডিং এবং ৬ টি পুরাতন স্টেশন বিল্ডিং এর সংস্কার/মেরামত সাধন। পদ্মা ব্রীজ রেল লিংক প্রজেক্ট এর জন্য সর্বোমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪,৯৯০.০০ কোটি টাকা যার মধ্যে চীন সরকার ২৪,৭৪৯.০০ কোটি এবং বাংলাদেশ সরকার ১০,২৪০.০০ কোটি টাকা বহন করবে। সুপারভিশন পরামর্শক সেবার জন্য প্রস্তাবিত খরচ ধরা হয়েছে ৯৪২.০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ০৬ বছর। পরামর্শক সেবার আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোর এর সদস্যগণ ঠিকাদার কর্তৃক দাখিলকৃত নকশা যাচাই করে তার অনুমোদন প্রদান করবে। তাছাড়া রেলপথের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, সাইট ক্লিয়ারেন্স এবং পূনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তা ও তদারকি করবে। দেশী ও বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যগণ নির্মাণ কাজের সুষ্ঠু তদারকিসহ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে যথাসময়ে কার্যসম্পাদনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা, ঠিকাদারের সহিত সম্পাদিত চুক্তির যথাযথ ব্যবস্থাপনা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ যোগ্যতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা পরামর্শক সেবার অন্তর্ভূক্ত।
উল্লেখ্য, রেলপথ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পদ্মা সেতুকে সংযুক্ত করার নিমিত্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম দিন হতেই পদ্মা সেতুতে ট্রেন চালু করার লক্ষ্য অর্জনের নিমিত্তে “পদ্মা সেতু রেল সংযোগ’’ প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (সিএসসি) সেলকে নিয়োগের ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ে অনুরোধ করে। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিএসসি এর নিয়োগের বিষয়ে সার-সংক্ষেপ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) কর্তৃক ৩০ মার্চ ২০১৬ তারিখে সুপারিশ করা হয়, ০৩ মে ২০১৬ তারিখে একনেক সভায় এবং পরবর্তীতে ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি (সিসিজিপি) কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
“পদ্মা সেতু রেল সংযোগ’ প্রকল্পে রেলওয়ে ও সেনাবাহিনীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
৬৩২