Home » প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ১৭ মার্চ ২০২১ঃ- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি এ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
পতাকা উত্তোলন শেষে সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অতঃপর মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতার ১০১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়। এরপর অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক এর সভাপতিত্বে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনু্ষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা টুঙ্গিপাড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খোকা থেকে জাতির পিতা ও বিশ্বনেতা হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন এ দেশের মাটি ও মানুষের অধিকার আদায় এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি বলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন বাঙালি জাতির জন্য এক মাহেন্দ্রক্ষণ। এ বছর মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপন সকলের কাছে অনন্য ঐতিহাসিক মাত্রা যোগ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে হয়তো আজও এদেশ স্বাধীন হতো না। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ছিল অগ্রণী ও অপরিসীম। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ এর ছয়দফা আন্দোলন, ’৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান পেরিয়ে’ ৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বিশ্ব রাজনৈতিক পরিমন্ডলেও তিনি ছিলেন অসাধারনের মধ্যে অসাধারন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী কুটনৈতিক। তাঁর অবস্থান ছিল সবসময় শোষন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে। বিশ্ব মানবতার জন্য তাঁর ভালোবাসা ছিল প্রবল। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রচেষ্টা ছিল নিরন্তর।
ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখতে পাওয়া যায় ছেলে বেলা থেকে আমৃত্যু তাঁর চরিত্রে সকল মানবিক গুণাবলির সন্নিবেশ ঘটেছিল- যা আমাদের সকলের জন্য, বিশেষ করে এ দেশের শিশু-কিশোরদের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। পরিশেষে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদর্শকে লালন করে দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মু্ক্িতযুদ্ধের চেতনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ভিত্তিক ভিডিও ক্লিপিংস/ফুটেজ প্রর্দশন করা হয়। অতঃপর সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি মন্ত্রণালয়ের গ্রন্থাগারে স্থাপিত ‘মুজিব কর্নার’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সম্পর্কিত ডকুমেন্টেশন সেন্টার’ এর শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর বাদযোহর গণভবন জামে মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচির সমাপ্তির ঘোষণা করা হয়।

 

সম্পর্কিত পোস্ট