লালমনিরহাট, ২৩ জুন ঃ- বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে ০৬ দিন ব্যাপী যৌথ মহড়া “এক্সারসাইজ প্যাসিফিক এ্যানজেল ১৯-১” এর মূল কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রবিবার (২৩-০৬-২০১৯) লালমনিরহাট কদমতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান এর এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ নজরুল ইসলাম, বিএসপি, এনএসডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি মহড়াটির উদ্বোধন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট এর এরিয়া কমান্ডার ও পুলিশ সুপার সহ জেলার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মহড়ায় গ্রুপ ক্যাপ্টেন আব্বাস আলী, জিইউপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জিডি (পি) এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রায় ২৫০ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক বিমান বাহিনীর মিশন কমান্ডার মেজর খ্রীস্টোফার ফালমার এর নেতৃত্বে প্রায় ১০০ জন সদস্যসহ নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ডের ৬ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করছেন।
দ্বিতীয়বারের মত অনুষ্ঠিত এই মহড়ার মাধ্যমে উক্ত এলাকার অধিবাসীদের চিকিৎসা সেবা এবং দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতিতে দ্রুততম সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ ভবন, বাড়িঘর নির্মাণে নানাবিধ সহায়তা প্রদানে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও এই মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধান ও রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট, লালমনিরহাট এর আশেপাশের এলাকার প্রায় ২০০০ রোগীকে বিনামূল্যে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা সহ ঔষধ ও সহায়ক সামগ্রী প্রদান এবং উক্ত এলাকার ৫টি ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয় ভবন পূনঃনির্মান কার্যক্রমসহ স্যানিটারী সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে।
এর আগে উক্ত যৌথমহড়ার প্রাক প্রস্তুতিস্বরুপ বিষয় ভিত্তিক অভিজ্ঞতা আদান প্রদান (এসএমইই) বিষয়ক প্রথম সেমিনারটি গত ১৯-২০ জুন ১৯ ইং তারিখে লালমনিরহাট জেলাস্থ আরডিআরএস এর কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে লালমনিরহাট এবং রংপুর জেলার বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার প্রধানগণ দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের করনীয় সম্পর্কে বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন।
এছাড়াও, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ উক্ত সেমিনারে দুর্যোগ পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পরবর্তী করনীয় সম্পর্কেও আলোকপাত করেন। উক্ত মহড়া সামরিক ও বেসামরিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সুসম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।