ঢাকা, ০৭ এপ্রিলঃ- বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কমান্ড সেফটি সেমিনার-২০২২ ফ্যালকন হল, ঢাকা সেনানিবাসে বৃহস্পতিবার (০৭-০৪-২০২২) অনুষ্ঠিত হয়।
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, বিবিপি, বিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এফএডব্লিউসি, পিএসসি সেমিনারে চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন এবং ফ্লাইট সেফটি ট্রফি বিতরণ করেন। বিমান বাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে ২০২১ সালে ২৮,৬৭৮ (আটাশ হাজার ছয়শত আটাত্তর) নিরাপদ উড্ডয়ন ঘন্টা অর্জন করায় মহান আল্লাহ্র প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন ও বিমান বাহিনী সদস্যদের প্রশংসা করেন যা এক বছরে কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি সত্ত্বেও বিমান বাহিনীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ উড্ডয়ন ঘন্টা। তিনি বলেন, ২০২১ সাল বিমান বাহিনীর অপারেশনাল কার্যক্রমে পরিপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে “৫০”, “১০০” ও “১০১” ফর্মেশনে ফ্লাইপাস্ট করেছে। এছাড়াও দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রমের জন্য তিনি বিমান বাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বিমান বাহিনী প্রধান বলেন, বর্তমানে বিমান বাহিনী সার্বিকভাবে বিমান পরিচালনায় এ্যানালগ ব্যবস্থা থেকে ডিজিটাল ব্যবস্থায় উত্তরণ করছে। তাই উড্ডয়ন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আপোষহীন মান অর্জনের লক্ষ্যে মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের বিকল্প নেই। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আজকের এই সেমিনার নিরাপত্তা সচেতনতাকে আরও জোরদার করে আমাদের উড্ডয়ন কার্যক্রমের পরিবেশকে আরও নিরাপদ করবে। “সম্মিলিত প্রয়াস” নিরাপদ উড্ডয়নের চাবিকাঠি। তিনি উল্লেখ করেন, প্ূের্বর দুর্ঘটনাসমূহ থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমেই বিভিন্ন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ ও “নিরাপত্তা সংস্কৃতি” বিকাশ সম্ভব।
২০২১ সালে সর্বাধিক নিরাপদ উড্ডয়ন ঘন্টা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার ‘আন্তঃঘাঁটি ফ্লাইট সেফটি ট্রফি’ এবং ১৫ নং স্কোয়াড্রনকে ‘আন্তঃস্কোয়াড্রন খাদেমুল বাশার ফ্লাইট সেফটি ট্রফি’ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২০২১ সালে দুর্ঘটনামুক্ত উড্ডয়নের জন্য ১, ৩, ৮, ৯, ১৫, ১৮, ২৫, ৩১ এবং ৩৫ নং স্কোয়াড্রন সমূহ, FIS, 103 ATTU, BAN AVN কে ‘এক্সিডেন্ট ফ্রি ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিমান সদর ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার এবং বঙ্গবন্ধু’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিমানসেনাগণ উপস্থিত ছিলেন। বিমান বাহিনীর অন্যান্য ঘাঁটি সমূহের সদস্যগণ ভিডিও টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।