টাঙ্গাইল, ১৩ নভেম্বর: – বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি বুধবার (১৩-১১-২০১৯) টাঙ্গাইলে অবস্থিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি পাহাড়কাঞ্চনপুরকে বিমান বাহিনী পতাকা প্রদান করেন।
বিমান বাহিনী প্রধান বিমান বাহিনী ঘাঁটি পাহাড়কাঞ্চনপুর এর প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে উক্ত ঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক এয়ার কমডোর মোঃ জাহিদুর রহমান, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি তাকে স্বাগত জানান। পতাকা প্রদানকালে বিমান বাহিনী প্রধান পাহাড়কাঞ্চনপুর ঘাঁটির প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। উক্ত কুচকাওয়াজ এর নেতৃত্ব দেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোখলেসুর রহমান, পিএসসি।
বিমান বাহিনী পতাকা হস্তান্তরের পর বিমান বাহিনী প্রধান মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি বিমান বাহিনীর সকল স্তরের সদস্যদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিমান বাহিনী সদস্যদের সাহসিকতাপূর্ণ অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। বক্তব্যে তিনি বিমান বাহিনীর সকল স্তরের সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষতা অর্জনের উপর তাগিদ দেন। বিমান বাহিনীর পতাকা অর্জনকারী ঘাঁটির প্রতিটি সদস্যকে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বিমান বাহিনীর সম্মানের প্রতীক হিসেবে প্রদানকৃত বিমান বাহিনী পতাকার মর্যাদা ও সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে বলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি পাহাড়কাঞ্চনপুর ভবিষ্যতেও বিমান বাহিনী তথা দেশের জন্য আরো অনেক গৌরবোজ্জ্বল কাজে অবদান রাখবে।
পরবর্তীতে বিমান বাহিনী প্রধান উক্ত ঘাঁটির পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য, স্থানীয় প্রশাসনের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিমান বাহিনীর অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে চলছে এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটি পাহাড়কাঞ্চনপুর সর্বক্ষেত্রেই এসব কার্যক্রমে নিয়মিত ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। নিত্য-নৈমিত্তিক কার্যক্রমের পাশাপাশি এ ঘাঁটি দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিতকরণ, ভিভিআইপি/ভিআইপি মিশন, মেডিক্যাল ইভাকুয়েশন, সার্চ এন্ড রেসকিউ মিশন, বিমান বাহিনীর দৈনন্দিন প্রশিক্ষণ মিশন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সাথে কো-অপারেশন মিশন, নানা ধরনের প্রশিক্ষণ সহ বাৎসরিক সামরিক মহড়া ও অনুশীলন অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে।
বিগত বছরগুলোতে অত্র ঘাঁটিতে কর্মরত কর্মকর্তা, বিমানসেনা ও এমওডিসিদের অপরিসীম দেশপ্রেম ও অক্লান্ত পরিশ্রমের স্বীকৃতিস্বরুপ স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোন র্যাডার ঘাঁটিকে বিমান বাহিনী পতাকা ধারণের সম্মানে ভূষিত করা হয়।