ঢাকা, ২২ জুলাই ২০২৫ ঃ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি একটি পূর্বনির্ধারিত সরকারী সফরে তুরস্কের উদ্দেশ্যে গত ২১ জুলাই ২০২৫ তারিখে ঢাকা ত্যাগ করেন। তুরস্কের বিমানবন্দরে অবতরণের পর তিনি বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধ বিমান FT-7BGI বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ সফর বাতিলকরতঃ তুরস্ক বিমান বন্দর থেকেই ফিরতি যাত্রা করে ২২ জুলাই ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশে প্রত্যার্বতন করেন।
ঢাকায় পৌঁছেই তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি আহতদের চিকিৎসা এবং তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। তিনি সেখানে বলেন, সরকার আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সব ধরণের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া আহতদের দ্রুত ও মানসম্পন্ন সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দিক নিদের্শনা অনুসারে যা যা করণীয়, বিমান বাহিনী অন্যান্য বাহিনী ও সংস্থার সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতঃ সবকিছু করবে।
বিমান বাহিনী প্রধান মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন,“এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আমরা যে মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছি, তা কখনো পূরণ হবার নয়। আমি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং সর্বদা নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি ”।
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোঃ তৌকির ইসলাম এর ফিউনারেল প্যারেড শেষে কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে ব্রিফিং-এ বিমান বাহিনী প্রধান দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে, দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার এবং সব ধরণের অপতথ্য বিশ্বাস করা থেকে বিরত থাকার জন্য আহবান জানান। বিভিন্ন হাসপাতালের নিহত ও আহত চিকিৎসাধীনদের পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান আইএসপিআর-এর মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তে তুলে ধরা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। মিডিয়া এবং সচেতন নাগরিক সমাজকে এ ধরণের জাতীয় বিপর্যয়ের মুহূর্তে গুজব বা অপতথ্যের প্রচারের বিরুদ্ধে সচেতন থেকে জনগনকে সঠিক তথ্য প্রদান এবং দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় সহায়তার জন্য বিশেষ ভাবে আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও গুরুত্বের সাথে পরিচালিত হবে।
