ঢাকা, ২৫ জুন ২০২৪ঃ ‘বিশ¡ হাইড্রোগ্রাফি দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (২৫-০৬-২০২৪) বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর মাল্টিপারপাস হলে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, এমপি। অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির সদস্যবৃন্দ, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাগণ এবং মেরিটাইম সংস্থার সদস্য ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- “সামুদ্রিক কার্যক্রমে নিরাপত্তা, দক্ষতা ও টেকসই উন্নয়নে হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যের গুরুত্ব”, যা একটি সমৃদ্ধ সামুদ্রিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে হাইড্রোগ্রাফির উল্লেখযোগ্য ভূমিকাকে নির্দেশ করে। প্রকৃতপক্ষে, সমুদ্রে দেশি-বিদেশি জাহাজসমূহের নিরাপদ চলাচল, সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই আহরণ ও কার্যকরী ব্যবহারে হাইড্রোগ্রাফিক তথ্য-উপাত্ত মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।
সেমিনারে সামুদ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তি বৃদ্ধিতে হাইড্রোগ্রাফিক এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্যের প্রয়োগ, সামুদ্রিক কর্মকাÐের সুরক্ষা ও স্থায়ীত্ব বৃদ্ধিতে আধুনিক হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ কৌশল অবলম্বন এবং স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য হাইড্রোগ্রাফিক তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় সুনীল অর্থনীতির দুয়ার উন্মোচন ইত্যাদি বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সেমিনারে বক্তারা হাইড্রোগ্রাফি সংক্রান্ত উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং তথ্য-উপাত্তের প্রায়োগিক ব্যবহারের মাধ্যমে সমুদ্র সম্পদের নিরাপদ, টেকসই ও কার্যকরী ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সমুদ্র বিজ্ঞানী, সমুদ্র ব্যবহারকারী সংস্থা ও দেশসমূহের মাঝে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা সম্ভবপর হবে।
হাইড্রোগ্রাফি সংক্রান্ত কার্যক্রমে বাংলাদেশের একটি দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশ ০২ জুলাই ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থার ৭০তম দেশ হিসেবে সদস্যপদ লাভ করে। সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০০৫ সাল হতে এ দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালন করে আসছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক ডিপার্টমেন্টের তত্ত¡াবধানে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় নিরাপদ নেভিগেশনের জন্য আন্তর্জাতিক সিরিজের চার্টসহ ন্যাশনাল সিরিজের পেপার ও ইলেক্ট্রনিক চার্ট প্রকাশের মাধ্যমে শতভাগ এলাকার চার্ট কভারেজ নিশ্চিত করা হয়েছে। এ সকল হাইড্রোগ্রাফিক তথ্য-উপাত্ত সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদের ব্যবহার, মৎস্য আহরণ, সমুদ্রসীমা নির্ধারণ, সুনামি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব, উপকূলীয় ভূমি ব্যবস্থাপনা, সামুদ্রিক পর্যটন এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ক বিশ্লেষণে ব্যবহƒত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিকভাবে মেরিটাইম সেইফটি, সিকিউরিটি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে হাইড্রোগ্রাফারদের অবদান স¥রণ করাই এ দিবসের মূল লক্ষ্য ছিল।