ঢাকা, ০৬ জানুয়ারি ২০২২: ‘বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ বৃহস্পতিবার (০৬-০১-২০২২) ঢাকার বিজয় সরণিস্থ বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও টেলিকনফারেন্স কন্ট্রোল (ভিটিসি) এর মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর’ উদ্বোধন করেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব শতবর্ষের মাহেন্দ্রক্ষণে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নির্মিত এই সামরিক জাদুঘর বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ ও ধারণ করবে। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমাদের সামরিক বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দিবে।
সামরিক জাদুঘরকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ লক্ষ্যে তৎকালীন চীফ অব জেনারেল স্টাফ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে তিন বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ২০১০ সালে একটি আধুনিকায়ন কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটি জাদুঘরটিকে একটি বিশ্বমানের জাদুঘর হিসেবে পুনঃনির্মাণ এবং ‘বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর’ নামকরণের জন্য সুপারিশ করে। ১০ একর জমিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর কমপ্লেক্স নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের উপর ভিত্তি করে ১৯৮৭ সালে ঢাকার মিরপুর সেনানিবাসে সামরিক জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অবদান তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে সামরিক জাদুঘরটি বিজয় সরণিতে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে, আমন্ত্রিত অতিথিগণ বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে এসে পৌঁছালে তাঁদের স্বাগত জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীগণ; সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনী প্রধানগণ; সংসদ সদস্যবৃন্দ; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করে।