ঢাকা, ১০ নভেম্বর ২০২৩: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (১০ নভেম্বর ২০২৩) বিজয় সরণিতে স্থাপিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করেন। সমগ্র শিল্পকর্মটির মধ্যমণি হয়ে দন্ডায়মান বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি।
উল্লেখ্য, জাতির পিতার এই ভাস্কর্যটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিজয় দিবস প্যারেডে প্রদর্শিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভাস্কর্যটির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে ভাস্কর্যটি বিজয় সরণিতে স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেন। এ প্রেক্ষিতে, সেনাবাহিনী প্রধানের পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনায় দীর্ঘ ৫ মাসের অক্লান্ত ও নিরলস পরিশ্রমে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি বিজয় সরণিতে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণে’ স্থাপিত হলো।
‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ স্বাধীনতাকামী জনগণের হৃদস্পন্দন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেরণা। স্থাপত্যটির সাতটি প্রাচীর আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের আলোকিত ৭টি আন্দোলন তথা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিচ্ছবি। এছাড়াও সাতটি প্রাচীর দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে নির্দেশ করে। পাশাপাশি ক্রম উর্ধ্বগামী ৭টি প্রাচীর জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নকে নির্দেশ করে। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস সমৃদ্ধ ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে এবং নতুন প্রজন্মকে বাঙালির সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণে প্রদর্শিত বঙ্গবন্ধুর এই ভাস্কর্যটি সব সময় আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিবে জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন ‘একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আধুনিক সোনার বাংলা’র কথা। তিনি উল্লেখ করেন যে, জাতির পিতার সেই স্বপ্ন হৃদয়ে ধারণ করে দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি আধুনিক, দক্ষ এবং সময় উপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণের কাজ অত্যন্ত সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে অভ্যাগত অতিথিবৃন্দের মধ্যে মন্ত্রী পরিষদের মাননীয় সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।