ঢাকা, ২১ জুন ২০১৯ ঃ বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে ২১ জুন বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস পালিত হয়। বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থার সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে ২০০৫ সাল হতে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “Hydrographic Information Driving Marine Knowledge’’। সমুদ্রে নিরাপদ জাহাজ চলাচল, ব্লু ইকোনমির উন্নয়ন, সামুদ্রিক পরিবেশ ও সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহার ও তার নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার বিষয়গুলো সকলের নিকট গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরতে এ প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশ¡ অর্থনীতির উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বাজারজাত করণের জন্য সাগর-মহাসাগর অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। বিশ¡ বাণিজ্যের শতকরা নব্বই ভাগের বেশী মালামাল সমুদ্রের মাধ্যমে পরিবহণ করা হয়। সমুদ্রে এ সকল জাহাজের নিরাপদ চলাচলের জন্য সমুদ্রের তলদেশ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা একান্ত প্রয়োজন। হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভিসেস সমুদ্রে নিরাপদ চলাচলের লক্ষ্যে নটিক্যাল চার্ট ও পাবলিকেশন্স এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্যসমুহ সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া সমুদ্র তলদেশের আকৃতি-প্রকৃতি ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসমুহ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, ড্রেজিং, অফশোর কন্সট্রাকশন, ক্যাবলস ও পাইপলাইন স্থাপন, টেলিকমিউনিকেশন্স, আবহাওয়া ও জলবায়ু বিজ্ঞান, সামুদ্রিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, এ্যাকুয়াকালচার, ফিশিং, বায়োমেডিসিন, সমুদ্র পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রমে এবং গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। যা একদিকে অর্থনীতিতে টেকসই উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে, অন্যদিকে অনেক বেশী কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ইতিমধ্যে সমুদ্রে নিরাপদ নেভিগেশনের জন্য আন্তর্জাতিক মানের নটিক্যাল চার্ট তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে। নৌবাহিনীর তৈরীকৃত চার্টসমুহ বিশ¡ব্যাপী মেরিনারগণ তাদের বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের সমুদ্রে নেভিগেশনের জন্য ব্যবহার করছে। এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনী ইলেকট্রনিক নেভিগেশনাল চার্ট তৈরির সামর্র্থ্য অর্জন করেছে যা বিশ¡ব্যাপী মেরিনারদের জন্য সহজলভ্য করার প্রক্রিয়া চলছে। এর ফলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সামুদ্রিক বাণিজ্য প্রসারে এবং নিরাপদ নেভিগেশনে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।