Home » সিএমএইচ ঢাকায় ১০০তম সফল কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারী

সিএমএইচ ঢাকায় ১০০তম সফল কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারী

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ০৯ মে ২০১৯ (বৃহস্পতিবার) ঃ বধিরতা বাংলাদেশে একটি বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ¡জুড়ে প্রতি ১৫০০ জনের মধ্যে ০১ জন শিশু বধিরতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সে হিসেবে বাংলাদেশে আনুমানিক ১.৫ মিলিয়ন শিশু মারাত্বক ধরনের বধিরতায় ভূগছে। মাতৃত্বকালীন ইনফেকশন, হোম ডেলিভারী, নিকটতম আত্মীয়দের মধ্যে বিবাহ, টিউবারকুলাস মেনিনজাইটিস, নিওনেটাল জন্ডিস, পুষ্টিহীনতা, হরমোন ও জেনেটিক ডিসঅর্ডার বাংলাদেশে বধিরতার হারকে আরও ত্বরানি¡ত করছে।

কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যা মারাত্বক বা সম্পূর্ণ বধির ব্যক্তিকে সফল সার্জারীর মাধ্যমে শব্দ শুনতে সহায়তা করে। সাধারনত ০৮ বছরের নীচে সকল জন্মগত বধির ও বোবা এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে যারা বিগত ১০ বছরের মধ্যে শ্রবনশক্তি হারিয়েছেন, তারা সবাই কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারীর মাধ্যমে শ্রবনশক্তি ফিরে পেতে পারেন।

বর্তমানে ঢাকা সিএমএইচ এ একটি বিদেশে প্রশিক্ষিত কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট টিম রয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর ২০১১ তারিখে সর্ব প্রথম এই অত্যাধুনিক ও দূর্লভ সার্জারী ঢাকা সিএমএইচে সম্পন্ন হয়। ০৫ মে ২০১৯ তারিখে কোন ঝুঁকি/জটিলতা ছাড়াই ১০০তম কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারী ঢাকা সিএমএইচ এ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

উন্নত বিশে¡ এই সার্জারীতে ৬০-৭০ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে। সেনাবাহিনী প্রধানের বিশেষ নির্দেশনায় ও আগ্রহে ঢাকা সিএমএইচ এ নিজস্ব টিম দ্বারা কেবল মাত্র ডিভাইস মূল্য বাবদ আনুমানিক ৬.৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর হতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বিনামূল্যে/স্বল্পমূল্যে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম ঢাকা সিএমএইচ এ চালু হয়েছে। সামরিক বাহিনীর রোগীদের পাশাপাশি সকল বেসামরিক রোগীদের জন্য এ সেবা উম্মুক্ত রয়েছে। ফলে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে শ্রবন প্রতিবন্ধীরা কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারী মাধ্যমে শব্দহীন অন্ধকার জগত হতে শব্দময় আলোকিত জগতে প্রবেশ করবে। শ্রবন প্রতিবন্ধী শিশু ও ব্যক্তি প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হয়ে সুদক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সমাজ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।

 

 

সম্পর্কিত পোস্ট