ঢাকা, ৩১ আগষ্ট ঃ- জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথম একটি মেডিকেল কন্টিনজেন্টের নারী কমান্ডার হিসেবে আইভরিকোষ্টে দৃষ্টান্তমূলক নেতৃত্ব ও জাতিসংঘকে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘ । এই সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কর্নেল ডা. নাজমা বেগম ( ঘধুসধ ইবমঁস )পেলেন জাতিসংঘের বিশেষ সম্মাননা । এছাড়া তিনি ২০১৬ সালের জন্য ‘মিলিটারি জেন্ডার এ্যাডভোকেট অব দি ইয়ার’ পুর¯কারের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক নির্বাচিত হয়েছেন।
১৬ আগষ্ট ২০১৬ তারিখে মেডেল প্যারেড অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি ম্যাডম আইচাতু মিনদৌদো ( গধফধস অরপযধঃড়ঁ গরহফধড়ঁফড়ঁ ) কর্নেল ডা. নাজমা বেগম এবং তার দলকে বিশেষ সম্মাননা জানান। জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি অনুপ¤িহত থাকায় তার পক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের ডেপুটি বিশেষ প্রতিনিধি এমবাই বাবাকার সিসি (গনধুব ইধনধপধৎ ঈওঝঝঊ) কর্নেল ডা. নাজমা বেগমের হাতে সম্মাননা তুলে দেন । এ সময়ে ফোর্স কমান্ডার মেজর জেনারেল দিদিয়ার এল’অতে (উরফববৎ খ’ ঐড়ঃব) ও ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম’বেমবা এম কেইতা (গ’ ইবসনধ গ. কবরঃধ ) উপ¯িহত ছিলেন ।
নারীদের মধ্যে প্রথমবারের মতো এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে গত ফেব্র“য়ারিতে আইভরিকোস্ট যান কর্নেল ডা. নাজমা বেগম । সেখানে পাঠানো ৫৬ সদস্যের মেডিকেল কন্টিনজেন্টে নারী কমান্ডার হিসেবে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি । আইভরিকোস্টের পশ্চিমাঞ্চলীয় দালোয়া এলাকায় লেভেল-২ হাসপাতালে শান্তিরক্ষীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই মেডিকেল টিম নিরলসভাবে কাজ করেছে ।
জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি মেডিকেল কন্টিজেন্টের দলটিকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করব । তারা স্থানীয় লোকজনকে যে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে শুধু তার জন্যই নয় বরং কর্নেল নাজমা বেগম এর নেতৃত্ব দিয়েছেন সে জন্যও । তিনি জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথম একটি মেডিকেল কন্টিনজেন্টের নারী কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন । তারা অসাধারণ কাজ করেছেন । কর্নেল নাজমা বেগমের দৃষ্টান্তমূলক নেতৃত্বের জন্য এবং বাংলাদেশ সরকারের সেনাবাহিনীতে নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ না করে জাতিসংঘকে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে ।