ঢাকা,১৭ অক্টোবর ২০১৮ ঃ নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত আটটি পরিবারকে আজ বুধবার (১৭-১০-২০১৮) মহাখালীস্থা রাওয়া ক্লাবে ‘‘সেনাকল্যাণ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড’’ এর পক্ষ থেকে সেনাকল্যাণ সংস্থাার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ফিরোজ হাসান বীমা দাবীর চেক প্রদান করেন। ছয়টি নিহত পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ৫১,২৫০/- ইউএস ডলার করে ৩,০৭,৫০০/- ইউএস ডলার ও দুইটি আহত পরিবারকে ৪২,০০০/- ইউএস ডলার সর্বমোট ৩,৪৯,৫০০/- ইউএস ডলারের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে আটটি পরিবারের মাঝে ক্ষতিপূরণের ৫১,২৫০/- হাজার ইউএস ডলার করে মোট ৪,১০,০০০/- ইউএস ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেয়া হয়। অবশিষ্ট ৯টি পরিবারের মাঝে আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান করা হবে ।
দুর্ঘটনায় ইউএস বাংলা’র বিমানটি সম্পুর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে বিধায় সার্ভেয়ার কোম্পানির রিপোর্ট অনুযায়ী বিমানটির (ঐঁষষ) মোট ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ গরষষরড়হ টঝ উড়ষষধৎ যা ইতোমধ্যে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে প্রদান করা হয়েছে । দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারবর্গকে বীমার অর্থ প্রদান করাই ছিল সেনা কল্যাণ ইন্সুরেন্সের প্রধান লক্ষ্য । এ ক্ষেত্রে প্রচলিত ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়মকানুন অনুযায়ী ওহঃবৎহধঃরড়হধষ আরধঃরড়হ ঞৎবধঃরবং, ঈড়হাবহঃরড়হ, বাংলাদেশ ও নেপালের সংশ্লিষ্ট ঈধংব খধংি ইত্যাদি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক সার্ভে প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ অনুযায়ী প্রত্যেক নিহত যাত্রীদের জন্য একটি ক্ষতিপূরণ অর্থ প্রদান করা হয় ।
প্রত্যেক নিহত যাত্রীর ক্ষেত্রে নুন্যতম ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১,২৫০/- ডলারের সমপরিমাণ অর্থ। সংশ্লিষ্ট যাত্রীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির ভিত্তিতে আহত যাত্রীদের ক্ষতিপুরণ নিরূপিত হয় ।
সেনা কল্যাণ সংস্থাার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান “সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড” বিগত ৩ বছর যাবত ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বীমাকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে । যেহেতু সেনা কল্যাণ সংস্থাা একটি কল্যাণমুখী সংস্থাা তাই তার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসাবে ক্ষতিগ্রস্তদের কল্যাণে কাজ করাই সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লি: এর মূল উদ্দেশ্য । এতো অল্প সময়ের মধ্যে এত বড় অংকের বীমা দাবী পরিশোধ সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি,সাধারণ বীমা কর্পোরেশন,বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পেশাগত দক্ষতাকেই তুলে ধরে ।
আরও উল্লেখ্য যে, গত ১২ই মার্চ ২০১৮ নেপালের ত্রিভুবন বিমান বন্দরে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণকালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান সংস্থাা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ থেকে নেপাল যাওয়ার পর অবতরণ কালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমান বন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয় । বিমানটিতে ৪ জন ক্রু ও ৬৭ জন যাত্রীসহ মোট ৭১ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৪ জন ক্রু’সহ মোট ২৭ জন বাংলাদেশি, ২৩ জন নেপালি এবং ১ জন চীনা যাত্রী নিহত হন । এছাড়াও ঐ ঘটনায় ৯ জন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি, ১ জন মালদ্বীপের নাগরিক আহত হন।