ঢাকা, ০৪ মার্চ ২০২০ (বুধবার)ঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূখী কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদানে সেনাবাহিনী অনন্য ভূমিকা পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২০১৯ সালে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন তিন পার্বত্য জেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৭৯১০ জনকে শীতবস্ত্র বিতরণ, ১৫৬৮৭ জনকে বিভিন্ন প্রকার ত্রান সামগ্রী বিতরণ ও ৭২২৪ জনকে বিভিন্ন আর্থিক অনুদান প্রদান করে। সেনাবাহিনী কর্তৃক ৭০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ/ পুনর্নির্মাণ, ১২৩টি ধর্মীয় উপসনালয় নির্মাণ/ পুনর্নির্মাণ, ৪৮ টি যাত্রী ছাউনী/ ব্রীজ নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ ও ২৭ টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়।
এছাড়াও, সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা উপকরণ, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ড্রেস ও খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ করে। পার্বত্য অঞ্চলের অবহেলিত মানুষদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে সেনাবাহিনী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে কম্পিউটার ও সেলাই মেশিন বিতরণসহ উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণও প্রদান করে। দুর্গম পার্বত্য এলাকার জনগণের সুষ্ঠু বিনোদনের জন্য সেনাবাহিনী কর্তৃক বিগত বছরে ১২২ টি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি উন্মুক্ত চলচ্চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাযÑধ্যাঞ্চলে বিগত ২০১৯ সালে ১৩ টি বিনামূল্যে চক্ষু শিবির পরিচালনা করে। এ সকল চক্ষু শিবিরে দুর্গম পার্বত্য এলাকার সুবিধাবঞ্চিত বয়োবৃদ্ধ পাহাড়ি ও বাঙ্গালীর চোখের ছানি অপারেশনসহ বিভিন্ন ধরনের চক্ষু সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে গুইমারা, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান রিজিয়নে সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী উপজাতি ও বাঙ্গালীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে। এই চিকিৎসা সেবার আওতায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিগত বছরে সর্বমোট ৯৯১৬৬ জনকে বিনামূল্যে নানাবিধ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের চিকিৎসা সেবায় সেনাবাহিনীর এই সহায়তা সবসময় চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।