২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

ঢাকা, ২১ মার্চ : প্রতি বছর বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩ টি সদস্য দেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলসমূহ ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালন করে আসছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা প্রতি বছর দিবসটি পালনের জন্য বাস্তব ও সময়োপযোগী একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্বাচন করে থাকে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘সূর্য, পৃথিবী ও আবহাওয়া (The Sun, the Earth and the Weather)’।

পৃথিবীর প্রাকৃতিক শক্তির ভারসাম্য রক্ষা, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং একইসাথে সমগ্র পৃথিবীর পানিচক্র ও জলবায়ু ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে সূর্য ও পৃথিবীর মিথষ্ক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়- ‘সূর্য, পৃথিবী ও আবহাওয়া’ (The Sun, the Earth and the Weather) বিশ্বের আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর সূর্য ও পৃথিবীর যৌথ প্রভাব সম্পর্কে মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (WMO) সদস্য রাষ্ট্র । আন্তঃদেশীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং স্থান ও সময়োপযোগী আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্যের আদান-প্রদান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০১৯ উদ্‌যাপনের এক অনাড়ম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অবঃ) মোঃ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, এম.পি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব আখতার হোসেন ভূইয়া। এ অধিদপ্তরের সদর দপ্তর, বিভাগীয় শহরসমূহ ও গুরুত্ব অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন শাখা অফিসসমূহ কর্তৃক দিবসটি সীমিত আকারে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ অধিদপ্তরের ঢাকাস্থ সদর দপ্তরে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও প্রামাণ্য চিত্র জনসাধারণের জন্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থাসহ ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ ও র‍্যালীর আয়োজন করা হবে। অধিদপ্তরীয় কর্মকর্তা পরিষদ কর্তৃক একটি টেকনিক্যাল সেশন এর আয়োজন করা হবে। স্বনামধন্য কিছু দৈনিক পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এ বিষয়ে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। এ ছাড়াও ঢাকা, কক্সবাজার, খেপুপাড়া, রংপুর ও মৌলভীবাজারের অপারেশনাল ইউনিট ও রাডার স্টেশনসমূহ জনসাধারণের প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।