যশোর, ২৯ আগস্টঃ- বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রার্থীদের নিকট হতে অবৈধভাবে অর্থ আতœসাতের অভিযোগে গত শুক্রবার (২৮-০৮-২০২০) সদর উপজেলার বিমানবন্দর এলাকা হতে দুই প্রতারককে আটক করে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার নামে জনসাধারণের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারক চক্রটি।
গত শুক্রবার আনুমানিক ১৮৩০ ঘটিকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য কর্তৃক যশোর বিমানবন্দর এলাকা হতে বিমান বাহিনী’তে বেসামরিক পদে ভূয়া নিয়োগ বানিজ্যে জড়িত চক্রের মূল হোতা ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের নিকট হতে কয়েকটি ভূয়া নিয়োগ পত্র, দুইটি ওয়াকিটকি সেট এবং বিমান বাহিনী’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নামে দুইটি সীলমোহর উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা ভূয়া নিয়োগ বানিজ্যে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং সাথে থাকা ওয়াকিটকি প্রদর্শন করতঃ নিজেকে কখনও পুলিশ সদস্য, কখনও ডিবি সদস্য, কখনও বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, আবার কখনও বা সামরিক বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা হিসেবে মিথ্যা পরিচয় প্রদান করে জনগণের সাথে প্রতারণা করত বলেও স্বীকার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চক্রের মূল হোতা খুলনা জেলার তেরোখাদা থানার হাড়িখালি গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ অহিদুজ্জামান (৪০) এবং তার সহযোগী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার কাজীপাড়া গ্রামের মীর মনিরুল ইসলাম এর ছেলে মীর আশরাফুল ইসলাম (২৭)। উল্লেখ্য যে, চক্রের মূল হোতা অহিদুজ্জামান (৪০) চাকরিপ্রার্থীদের ভূয়া নিয়োগ পত্র প্রদান করতে বিমান বাহিনী’র বিভিন্ন পদবী’র কর্মকর্তাদের নাম ও স্বাক্ষর এবং বিমান বাহিনী’র অফিস সীল জালিয়াতি করে প্রতারণামূলক নিয়োগ বানিজ্যের উদ্দেশ্যে ভূয়া নিয়োগ প্রদান করতঃ বেসামরিক পরিমন্ডলে বিমান বাহিনী’র সুনাম ক্ষুন্ন করে আসছিল। বিষয়টি বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষ আমলে নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে যশোর বিমানবন্দর এলাকা হতে অহিদুজ্জামান ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়।
প্রতারক চক্রটি যশোর ও পাশর্^বর্তী বিভিন্ন জেলার অসহায় বেকার চাকরি প্রার্থীদের নানান অপকৌশলে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভূয়া নিয়োগ পত্র প্রদানের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত। এই চক্রটি আনুমানিক ১০০/১৫০ জন প্রার্থীকে চাকুরি দেয়ার আশ্বাস প্রদান করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অহিদুজ্জমান ও তার সহযোগী মীর আশরাফুল ইসলাম-কে কোতয়ালী মডেল থানা, যশোর এ হস্তান্তর করা হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, বিমান বাহিনীতে টাকার বিনিময়ে চাকরি প্রাপ্তির কোন সুযোগ নেই বরং এটা সম্পুর্ণই প্রতারণা। টাকার বিনিময়ে বিমান বাহিনীতে চাকরি প্রাপ্তির এই প্রতারণার হাত থেকে সকল আগ্রহী প্রার্থী ও তাদের সংশ্লিষ্ট অভিভাবকগণকে সাবধান থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল।