ঢাকা, ০১ মার্চ ২০২১: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন MONUSCO (ডিআর কঙ্গো) তে প্রতিস্থাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ০৩টি কন্টিনজেন্টের মধ্যে ২০৫ জনের ১ম দল সোমবার (০১-৩-২০২১) শান্তিরক্ষা মিশনের ১ম রোটেশন ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে। এছাড়া, আগামী ২১ মার্চ, ০৯, ২৬ এপ্রিল, ১৪, ৩১ মে ২০২১ তারিখে আরো ০৫ টি ফ্লাইটে ১,০৪৪ জন শান্তিরক্ষী ডিআর কঙ্গো এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
এ উপলক্ষ্যে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে যাত্রার প্রাক্কালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওভারসীজ অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনিরুল ইসলাম আখন্দ, এনডিসি, পিএসসি ব্রিফিং এ জানান, জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষার মহতি কার্যক্রমে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীগণ সফলতার সহিত ৩৩ বছরেরও অধিক সময় অতিক্রম করেছে। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ অবদান আজ সর্বমহলে প্রশংসিত এবং সর্বজনস্বীকৃত। গত ৩১ আগষ্ট ২০২০ তারিখ হতে বাংলাদেশ পুনরায় শীর্ষস্থানীয় শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। এই গৌরবময় অর্জনের নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আন্তরিকতা, ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, দক্ষ পেশাদারিত্ব ও মহান আত্মত্যাগ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমানে চলমান ০৭টি মিশনসহ মোট ৬২টি শান্তিরক্ষা মিশনে সফলতার সাথে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। এই মহতি কার্যক্রমে অদ্যাবধি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪০৬ জন নারী সেনাসদস্যসহ সর্বমোট ১,৪১,৬০৫ জন সেনাসদস্য অংশগ্রহণ করেছেন।
চলমান COVID-১৯ পরিস্থিতির কারণে অন্যান্য শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশের মত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের রোটেশন কার্যক্রমও সাময়িকভাবে স্থগিত ছিল। পরবর্তীতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এর সময়োপযোগী নির্দেশক্রমে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, এসবিপি (বার), বিএসপি, বিজিবিএম, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, পিএসসি, জি এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তা পূনরায় চালু হয়েছে। ইতিপূর্বে কন্টিনজেন্টসমূহের বৈদেশিক মিশনে গমনাগমন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন বিদেশী বিমান সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের মাধ্যমে রোটেশন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং বৈদেশিক মিশনে গমনকারী প্রতিটি সদস্যকে মিশনে গমনের পূর্বে কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদান সম্পন্ন করা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে।