ঢাকা, ২৯ মে ২০২৩: ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে আজ সোমবার (২৯-৫-২০২৩) রংপুর অঞ্চলে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস – ২০২৩ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রংপুরে Peacekeepers Run সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার রংপুর এরিয়া মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, এসপিপি, বিজিবিএম, এনএসডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সামরিক ও অসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, অত্র ফরমেশনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩ এর অনুষ্ঠান শুরু হয় Peacekeepers Run এর মধ্যে দিয়ে যা রংপুর জেলা স্কুল মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে শেষ হয়। Peacekeepers Run শেষে উপস্থিত সকলে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার রংপুর এরিয়া বেলুন উড়িয়ে এবং শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা সকল শান্তিরক্ষীদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সবশেষে দিনটির তাৎপর্য এবং গুরুত্ব বর্ণনা করে প্রধান অতিথি তাঁর মুল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারী সকল সদস্যের কথা পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন এ বছরের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এ বছর আমরা জাতির পিতার ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করছি। জাতির পিতা বাঙ্গালী জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্ব শান্তির স্বপক্ষে অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালের ২৩ মে তারিখে এই পদকে ভূষিত হন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সেনাসদস্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রেখে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ০৭ জন (১x মেজর জেনারেল, ৬× ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাতিসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। বর্তমানে জাতিসংঘের অধীনে সর্বমোট ১৪টি দেশে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সর্বমোট ৭,৪৩৬ জন সদস্য শান্তিরক্ষার কাজ করে যাচ্ছেন। শান্তিরক্ষার এই সুমহান দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র বাহিনীর ১৪৪ জন ও পুলিশ বাহিনীর ২৩ জন সদস্য জীবনোৎসর্গ করেছেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর ২৪৭ জন ও পুলিশ বাহিনীর ১২ জন সদস্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তিনি জাতির সেই সকল অকুতোভয় শান্তিরক্ষীদের মহান আত্নত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।