ঢাকা, ২৩ নভেম্বর ঃ মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, কিলো ফ্লাইটের বীর বৈমানিক এবং তাদের উত্তরাধিকারীগণকে ঢাকার তেজগাঁওস্থ বিএএফ শাহীন হলে ২৩ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, বিবিপি, বিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এফএডব্লিউসি, পিএসসি সংবর্ধনা প্রদান করেছেন।
জাতির পিতার উদাত্ত আহবানে সাড়া দিয়ে বিমান বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ মহান মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন সেক্টরে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অপরদিকে কিলোফ্লাইটের সদস্যগণ আকাশ যুদ্ধে তৈরি করেছিল এক বিরল উদাহরণ। কিলোফ্লাইট এবং অন্যান্য বিমান বাহিনীর সদস্যগণের এই অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। তাঁদের প্রাপ্য সম্মানের স্বীকৃতি স্বরূপ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে কিলো ফ্লাইটের বৈমানিকসহ মোট ২৬ জনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বিমান বাহিনী প্রধান অনুষ্ঠানে উপস্থিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, কিলো ফ্লাইটের বৈমানিক ও তাঁদের উত্তরাধিকারীগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। বিমান বাহিনী প্রধান তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং মুক্তিযুদ্ধে আতেœাৎসর্গকারী সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি বলেন, ‘‘জাতির পিতার কাক্সিক্ষত আদলে বিমান বাহিনীকে গড়ে তুলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে মাত্র তিনটি বিমান নিয়ে যে বিমান বাহিনীটির জন্ম হয়েছিল, তা আজ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার, বিভিন্ন ধরনের র্যাডার, ক্ষেপণাস্ত্র এমনকি ওভারহলিং প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ। অপারেশনাল ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এবং বেশ কিছু প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’’
খেতাব প্রাপ্ত বিমানবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা ও কিেেলাফ্লাইটের সদস্যদের সাহসী অবদান ও আতœত্যাগ বিমান বাহিনীর বর্তমান সদস্যদের দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত করে। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণসহ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।