Home » এমআইএসটি-তে ইনভেনশিয়াস ৪.১-এর সমাপনী অনুষ্ঠান

এমআইএসটি-তে ইনভেনশিয়াস ৪.১-এর সমাপনী অনুষ্ঠান

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ৮ মার্চ ২০২৫: মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)-র গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার তত্ত্বাবধানে এমআইএসটি ইনোভেশন ক্লাব (এমআইসি) আয়োজিত জাতীয় প্রযুক্তি উৎসব ‘ইনভেনশিয়াস ৪.১’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই আয়োজন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা, উদ্ভাবনী চিন্তা এবং নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমআইএসটি-র কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মোঃ নাসিম পারভেজ, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ হওয়া এমআইএসটি-র শিক্ষার্থী শহীদ ইয়ামিন এবং শহীদ রাকিব-এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তরুণদের প্রতি তাঁদের আদর্শ ও আত্মত্যাগ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে, উদ্ভাবন ও নেতৃত্বই একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে এবং প্রকৃত সাফল্য নির্ভর করে নতুন কিছু আবিষ্কার ও পরিবর্তনকে গ্রহণ করার মানসিকতার উপর।

উৎসবে চারটি প্রধান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়: হ্যাকাথন, লিড দ্য ফিউচার, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন প্রতিযোগিতা এবং প্রকল্প প্রদর্শনী। এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা অসাধারণ সৃজনশীলতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং কৌশলগত চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটান। হ্যাকাথনে চ্যাম্পিয়ন হয় ‘আইইউটি’ আর রানার-আপ হয় ‘বিএআইইউএসটি’। লিড দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতায় ‘এনএসইউ’ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ‘এমআইএসটি’ রানার-আপ হয়। ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন প্রতিযোগিতায় ‘মোঃ রোহান, ইউআইইউ’ শীর্ষস্থান অধিকার করে, আর ‘নুফসাত ফারুকী, আইইউটি’ রানার-আপ হয়। প্রকল্প প্রদর্শনীতে ‘আইইউটি’ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ‘এমআইএসটি’ রানার-আপ হয়।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বিচারক, আয়োজক, স্পনসর ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এই উৎসবকে সফল করে তোলার জন্য তাঁদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি এম আইএসটি-এর গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উল্লেখ করেন যে, ভবিষ্যতে ইনভেনশিয়াস আরও উদ্দীপনামূলক ও সমৃদ্ধ হবে। এই আয়োজন শুধু তরুণ উদ্ভাবকদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ তৈরি করেনি, বরং গবেষণা, সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের সংস্কৃতি গড়ে তুলে জাতীয় প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে, যা বৈশ্বিক উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন IRIIC-এর পরিচালক প্রফেসর ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন এবং এটুআই (a2i) প্রকল্পের ‘ডিভাইস ইনোভেশন এক্সপার্ট’ তৌফিকুর রহমান। তাঁরা প্রযুক্তির উন্নয়নে তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনী গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট