ঢাকা, ১৪ আগস্ট ২০১৭ (সোমবার) ঃ আজ ১৪ আগস্ট ২০১৭ তারিখ সকালে স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে গাইবান্ধা সদরের বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় সেখানকার বাঁধ পুনঃনির্মাণে সেনাবাহিনীর ৩ প্লাটুন সদস্য ০৫টি স্পীড বোট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রীসহ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ১৯ পদাতিক ডিভিশন হতে একটি বিশেষ পর্যবেক্ষক দল আজ সিরাজগঞ্জ জেলার বন্যা দূর্গত এলাকা কাজিরপুর উপজেলার বাহুকায় গমন করে এবং দূর্গত এলাকা পর্যবেক্ষণ করে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে যে কোন সময় সেনাবাহিনীর আরো সদস্য বন্যা দূর্গত এলাকায় দ্রুততম সময়ে বন্যা দূর্গতদের উদ্ধার ও বাঁধ রক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যা কবলিত হয়ে তলিয়ে গেলে সরকারের নির্দেশে জনস্বার্থে প্রাথমিকভাবে গত ১২ আগস্ট ২০১৭ তারিখ সন্ধ্যায় ৬৬ পদাতিক ডিভিশন হতে ১ প্লাটুন সেনাসদস্য ঠাকুরগাঁও শহরে মোতায়েন করা হয়। উক্ত সেনাসদস্যরা রাতভর উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরবর্তীতে ১৩ আগস্ট সকালে প্রাথমিকভাবে দিনাজপুর সদর ও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় ২ প্লাটুন করে সেনাসদস্য উদ্ধার কাজে মোতায়েন করা হয়। বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটলে বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে গতকালই পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারের জন্য আরো অধিক সংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে দিনাজপুর সদরে তিনটি প্লাটুন ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় এক কোম্পানি সেনাসদস্য বন্যা দূর্গত মানুষে সাহায্যে কাজ করে যাচ্ছে। অদ্যাবধি উক্ত এলাকা দুটি হতে সেনাবাহিনী দুই শতাধিক বন্যা দূর্গত মানুষকে উদ্ধারসহ বিপুল পরিমান গবাদি-পশু ও গৃহস্থালি সামগ্রী উদ্ধার করেছে। এছাড়াও গত ১৩ আগস্ট ২০১৭ তারিখ সৈয়দপুরে বাঁধ রক্ষা কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ২ প্লাটুন সেনাসদস্য নিয়োগ করা হয়। উক্ত সেনাসদস্যরা সফলভাবে বাঁধ রক্ষা কাজ সম্পন্ন করে সন্ধ্যায় সেনানিবাসে প্রত্যাবর্তন করে। একই দিনে সেনাবাহিনীর তিনটি বিশেষ পর্যবেক্ষক দল গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও তিস্তা ব্যারেজ এ বন্যা দূর্গত এলাকা পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করে।
এছাড়া, সেনাবাহিনী সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে।