ঢাকা, ০৭ জুন ২০২১ঃ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ/২০২১ ব্যাচের ৪৮৬ জন নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ আজ সোমবার (০৭-০৬-২০২১) খুলনাস্থ নৌঘাঁটি বানৌজা তিতুমীর প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও আকর্ষণীয় মার্চপাস্টের সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতি নবীন নাবিকদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
নৌবাহিনীর এ/২০২১ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মোঃ ইউশা র্হদয় পেশাগত ও সকল বিষয়ে সেরা চৌকস নাবিক হিসেবে ‘নৌপ্রধান পদক’ লাভ করে। এছাড়া মোঃ রনি সরকার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’, রিয়াজ উদ্দিন র্হদয় তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘তিতুমীর পদক’ লাভ করে। উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি মেনে নবীন নাবিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
নৌপ্রধান নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে তার ভাষণে, স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অসামান্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স¥রণ করেন। সেইসাথে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীর নৌসেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স¥রণ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি ত্রিমাত্রিক ও যুগোপযোগী নৌবাহিনী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। নৌবাহিনীর এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উচ্চ মনোবল ও সাহস নিয়ে নবীন নাবিকদের একযোগে দেশের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি। তিনি তার বক্তব্যে নৌঘাঁটি তিতুমীরে নবীন নাবিক প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে যোগ্য নাবিক হিসেবে গড়ে তোলা এবং ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। তিনি পেশা হিসেবে দেশ সেবা ও দেশ গড়ার পবিত্র দায়িত্বকে বেছে নেয়ায় নবীন নাবিকদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজেদের নিয়োজিত করার পরামর্শ দেন।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে খুলনা নৌ অঞ্চলের সীমিত সংখ্যক নৌ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পদবীর নাবিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।