ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ (বৃহস্পতিবার)ঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিমান বহরে নতুনভাবে ০৪ টি ডায়মন্ড ডিএ৪০এনজি প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১২-১২-২০১৯) ঢাকা সেনানিবাসস্থ আর্মি এভিয়েশনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, এসবিপি, বিএসপি, বিজিবিএম, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, পিএসসি, জি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীসহ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য বিভিন্ন বেসামরিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য সেনাবাহিনীর আভিযানিক কার্যক্রমে প্রত্যক্ষভাবে বিমান সহায়তা প্রদান করা। আধুনিক সেনাবাহিনীর সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে আর্মি এভিয়েশনে সংযোজিত হয়েছে আধুনিক হেলিকপ্টার ও সামরিক বিমান। এই প্রতিষ্ঠান ১৯৭৮ সাল থেকে তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দর এলাকা হতে কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। বর্তমানে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের বিমান বহরে রয়েছে সেসনা-১৫২ এ্যারোব্যাট, সেসনা গ্রান্ড ক্যারাভান সিই-২০৮বি বিমান, বেল-২০৬ এল ৪ হেলিকপ্টার, ইউরোকপ্টার ডফিন এএস ৩৬৫ এন৩+, এমআই ১৭১ এস এইচ হেলিকপ্টার এবং কাসা সি-২৯৫ ডব্লিউ বিমান।
শান্তিকালীন সময়ে আর্মি এভিয়েশন সেনা বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন অনুশীলন ও মহড়ায় অংশগ্রহণ, জরুরী চিকিৎসার জন্য রোগী স্থানান্তর, সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডে জরুরী প্রয়োজনে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। উপরোক্ত কর্মকান্ডের পাশাপাশি যুদ্ধকালীন সময়ের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ ও ফায়ার সহায়তা প্রদান, বিশেষ বিশেষ জায়গায় ভূমির স্বরূপ পর্যবেক্ষণ, আকাশ পর্যবেক্ষক হিসেবে গোলা নিয়ন্ত্রণ, জরুরী রিইনফোর্সমেন্ট সহায়তা, কমান্ডো অপারেশনে সহায়তা, জরুরী রশদ সরবরাহ ও যুদ্ধক্ষেত্রে রোগী স্থানান্তরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধকালীন দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা প্রতিনিয়ত অনুশীলনের মাধ্যমে রপ্ত করে থাকে।