ঢাকা: ২৪ নভেম্বর ২০২০: রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসস্থ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ (বিইউপি) এর বিজয় অডিটোরিয়ামে সামাজিক দূরত্ব মেনে ÔÔComprehensive Learning Management System (CLMS), Remote Proctoring এবং Plagiarism Checker’’ শীর্ষক শিক্ষাবান্ধব সফটওয়্যারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর ২০২০) অনুষ্ঠিত হয়।
করোনার মত বৈশ্বিক মহামারির শুরু থেকে অনলাইনে চলমান বিইউপির শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও যুগোপযোগী এবং যে কোন প্রতিকূলতার মাঝেও সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য বিইউপি এই সফটওয়্যার প্রবর্তন করছে। এই সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস পরিচালনা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান, শিক্ষার্থীদের সার্বিক একাডেমিক অগ্রগতি বিষয়ক রিপোর্ট, প্রত্যেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর প্রোফাইল ব্যবস্থাপনা, ভিডিও আপলোড, যে কোন প্রকার পরীক্ষা গ্রহণ এবং তা রিমোট প্রক্টোরিং এর মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও থিসিস, টার্মপেপার এবং অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ যা ‘টার্ন-ইট ইন’ প্লেজারিজম চেকার এ্যাপের (Turnitin Plagiarism) এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় ভাবে লেখার মৌলিকত্ব ও স্বচ্ছতা যাচাই করা সম্ভব হবে। এছাড়াও নতুন এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, এসবিপি, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন সারাবিশ্বে করোনা সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়েছে, শিক্ষাকে এক চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে, ঠিক সেখানেই বিইউপি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই বিশ্ব স্থবিরতার মাঝে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিইউপি শুরু থেকেই অনলাইন ক্লাস, পরীক্ষাসহ অন্যান্য সকল প্রশাসনিক কার্যাবলী সচল রেখেছে, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি প্রাক্কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিইউপি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা সত্যিই অনন্য। এছাড়া তিনি আরও বলেন, উচ্চ শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এখন বেশি জোর দিতে হবে গবেষণার ক্ষেত্রে , তবেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাঙ্খিত মানে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিয়ে বরং শিক্ষার গুণগত মান হবে একটা প্রতিষ্ঠানের মান নির্ধারণের মাপকাটি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হবে উচ্চশিক্ষা তথা জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার সূতিকাগার।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে মাননীয় সংসদ সদস্য, সিনেট সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্যবৃন্দ, বিইউপির বঙ্গবন্ধু চেয়ারের অধ্যাপক, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্যগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, বিইউপির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী এবং বিপুল সংখ্যক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা একটি মাইলফলক হিসেবে পরিগণিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে ।