ঢাকা, ৩১ আগস্টঃ- বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি ০৬ দিনের সরকারী সফর শেষে শনিবার (৩১-০৮-২০১৯) রাশিয়া হতে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন।
সফরকালে বিমান বাহিনী প্রধান রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত The International Aviation and Space Salon (MAKS-2019) এয়ার শো তে অংশগ্রহণ করেন। এই MAKS এয়ার শো বিভিন্ন দেশের এভিয়েশন সংস্থার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিস্তার লাভে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করে।
সফরকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান রাশিয়ার বিমান বাহিনী প্রধানের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং দ্বিপাক্ষিক স¦ার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন। সাক্ষাতকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জাম, বিমান ও র্যাডার প্রদানে সহায়তা করার জন্য রাশিয়া সরকারের ভ‚য়সী প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন। এছাড়া তিনি দুই দেশের বিমান বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা আগ্রহ প্রকাশ করেন। আলোচনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান, দুই দেশের বিমান বাহিনীর মধ্যে ভবিষ্যত সহযোগীতা প্রদানের ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য ‘এয়ার স্টাফ টক’ শুরু করার জন্য আহবান জানান।
সফরকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান রাশিয়ার Department of Federal Service for Military Technical Cooperation (FSMTC) এর প্রধানের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এছাড়াও তিনি এয়ার শো তে রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান ROSOBORONEXPORT এবং এভিয়েশন কোম্পানি IRKUT Corporation এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে তারা উভয় দেশের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সহযোগীতা এবং দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে মত বিনিময় করেন।
বিমান বাহিনী প্রধানের রাশিয়া সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য নতুন নতুন যুদ্ধাস্ত্র ও প্রযুক্তি সরঞ্জাম সংযোজনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত এবং দুই দেশের বিমান বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য যে, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি Federal Service for Military Technical Cooperation (FSMTC) of Russia এর আমন্ত্রণে গত ২৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখে এক সরকারী সফরে রাশিয়ায় গমন করেছিলেন।