ঢাকা, ২৪ জুলাইঃ- গত তিন দিন ধরে চলমান বাংলাদেশে প্রথমবার আয়োজিত ‘‘রাসায়নিক দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় হাসপাতালসমূহের প্রস্তুতি শীর্ষক জাতীয় প্রশিক্ষণ” শিরোনামের প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি বুধবার (২৪ জুলাই ২০১৯) তারিখে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় সমাপ্ত হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি ২২-২৪ জুলাই ২০১৯ বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (বিএনএসিডব্লি¬উসি), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকা কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য যে, উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি ২২ জুলাই ২০১৯ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকায় উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, জনাব জাহিদ মালেক, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান, বিএনএসিডব্লি¬উসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ মাহফুজুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দেশ-বিদেশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাসায়নিক দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যাক্তিদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশব্যাপি হাসপাতালসমূহের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম সূচনা করাই ছিল এই প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য। দেশের স্বনামধন্য হাসপাতালসমূহে চিকিৎসা ব্যবস্থপনার সাথে সম্পৃক্ত বিষেশজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হতে আগত কর্মকর্তাগণসহ মোট ৪৫ জন প্রশিক্ষণার্থী উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করেন। উক্ত প্রশিক্ষণে জরুরী হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, রাসায়নিক দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিকে রাসায়নিক দূষণ মুক্তকরণ পদ্ধতি, ক্লিনিক্যাল ম্যানেজম্যান্ট সহ চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সেকেন্ডারি কন্টামিনেশন প্রতিরোধ বিষয় গুরুত্ব আরোপ করা হয়। প্রশিক্ষণ কোর্সটির ক্লাস ও দলগত অনুশীলন পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থা (ঙচঈড), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) সহ দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষকগণকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী এবং প্রশিক্ষকগণের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন। এই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষনার্থীদের অর্জিত জ্ঞান রাসায়নিক দুর্যোগ/দুর্ঘটনা পরবর্তী চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলে প্রধান অতিথি তার সমাপনী বক্তব্যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়াও রাসায়নিক দুর্যোগ/দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় হাসপাতালসমূহের দক্ষতা বৃদ্ধির উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। এই প্রশিক্ষণে তিনি তাঁর মন্ত্রণালয় কর্তৃক সকল ধরনের সহযোগিতার নিশ্চয়তা প্রদান করেন। তিনি বাংলাদেশে প্রথমবার আয়োজিত এ প্রশিক্ষণটি সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।