ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ (বুধবার)ঃ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি আজ বুধবার (২২-৯-২০২১) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া কোরের ‘৮ম কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বগুড়ায় অবস্থিত মাঝিরা সেনানিবাসে আর্মার্ড কোর সেন্টার এ্যান্ড স্কুলের শহীদ লেঃ বদিউজ্জামান প্যারেড গ্রাউন্ডে সামরিক ঐতিহ্য ও রীতি অনুযায়ী সাঁজোয়া কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অভিষেক অনুষ্ঠানে সাঁজোয়া কোরের জ্যেষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার সেনাবাহিনী প্রধানকে ‘কর্নেল র্যাংক ব্যাজ’ পরিয়ে দেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊধর্¡তন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও সাঁজোয়া কোরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাঁজোয়া ইউনিটসমূহের প্রতিনিধিগণ এবং বগুড়া এরিয়ার বিভিন্ন পদবীর সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্যারেড স্কয়ারে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধানকে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন জানানো হয় এবং সাঁজোয়া কোরের একটি চৌকষ দল তাঁকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসাবে সেনাবাহিনী প্রধান ঐতিহ্যবাহী সামরিক নীতি অনুযায়ী সাঁজোয়া কোরের অভিভাবকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তাঁর দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। পরে সেনাবাহিনী প্রধান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সাঁজোয়া কোরের বীর শহীদদের স¥রণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘সাঁজোয়া চিরন্তন’ এ পুস্পস্তবক অর্পন করেন এবং আর্মার্ড কোর সেন্টার এ্যান্ড স্কুল এর ঐতিহ্যবাহী সাঁজোয়া জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠান শেষে সেনাবাহিনী প্রধান সাঁজোয়া কোরের ৪১তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দেন। তিনি সম্মেলনে উপস্থিত সাঁজোয়া কোরের ইউনিটসমূহের অধিনায়ক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন এবং সাঁজোয়া কোরের উন্নয়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে পরিচালিত কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তিনি সাঁজোয়া কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় এই কোরের অবদানের কথা স¥রণ করেন এবং আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে সাঁজোয়া কোরের সকল সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান সাঁজোয়া কোরের ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে এই কোরের সদস্যদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি এবং কোরের প্রতিটি সদস্যের মাঝে আগামী দিনে দেশসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।