ঢাকা, ৬ আগস্ট ২০১৮: নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর দুর্ঘটনায় নিহতদের ইস্যুরেন্স বাবদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠান সোমবার (০৬-০৮-২০১৮) ঢাকার মহাখালীস্থ নিউ ডিওএইচএস-এ অবস্থিত রাওয়া ক্লাবের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সেনা কল্যাণ সংস্থার ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম মাহমুদ হাসান নিহত ও আহত বিমান যাত্রীদের পরিবারবর্গের সদ্যসদের মাঝে চেক প্রদানের মাধ্যমে বীমার অর্থ হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণকালের ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে গত ১২ই মার্চ ২০১৮ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ মডেলের বিমানটি যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ থেকে নেপাল যাওয়ার পর অবতরণ কালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমান বন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয় । বিমানটিতে ৪ জন ক্রু ও ৬৭ জন যাত্রীসহ মোট ৭১ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৪ জন ক্রু’সহ মোট ২৭ জন বাংলাদেশি, ২৩ জন নেপালি এবং ১ জন চীনা যাত্রী নিহত হন । এছাড়াও, ঐ ঘটনায় আহত ৯ জন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি, ১ জন মালদ্বীপের নাগরিক ।
সেনা কল্যাণ সংস্থার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘‘ সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড’’ বিগত তিন বছর যাবত ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বীমাকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে । যেহেতু সেনা কল্যাণ সংস্থা একটি কল্যাণমুখী সংস্থা তাই তার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসাবে ক্ষতিগ্রস্তদের কল্যাণে কাজ করা সেনাকল্যাণ ইনসুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশান মোতাবেক সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি তার কার্যক্রম শুরু করে । মোট ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও তা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সঠিক ভাবে বিতরণের লক্ষ্যে কোম্পানির মুখ্য নির্বাহি কর্মকর্তা ও কোম্পানির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে ।
দুর্ঘটনায় ইউএস বাংলা’র বিমানটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। সার্ভেয়ার কোম্পানির রিপোর্ট অনুযায়ী বিমানটির ঐঁষষ মোট ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে (7 Million US Dollar) যা থেকে ইতোমধ্যে ৬.৭ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সকে প্রদান করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারবর্গকে বীমার অর্থ প্রদান করাই ছিল সেনা কল্যাণ সংস্থার প্রধান লক্ষ্য । এ ক্ষেত্রে প্রচলিত ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়মকানুন অনুযায়ী (International Aviation Treaties, Convention) বাংলাদেশ ও নেপালের সংশ্লিষ্ট Case Laws ইত্যাদি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক সার্ভে প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ অনুযায়ী প্রত্যেক নিহত যাত্রীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান করা হবে ।
প্রত্যেক নিহত যাত্রীর ক্ষেত্রে নুন্যতম ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০,০০০ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ আহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ নিরুপিত হতে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির উপর নির্ভর করে ।
এতে অল্প সময়ের মধ্যে এত বড় অংকের বীমা দাবী পরিশোধের নিশ্চয়তা সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পেশাগত দক্ষতাকেই তুলে ধরে।