১। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক তনু হত্যাকান্ডের ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তদন্ত কার্যক্রম চলমান এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ তদন্তে পূর্ণাঙ্গ ও আন্তরিক সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। সকল দেশবাসীর মতো দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও চায় প্রকৃত হত্যাকারীরা দ্রুত সনাক্ত হোক এবং তাদের গ্রেফতারের মাধ্যমে যথাযথ বিচারের সম্মুখীন করা হোক।
২। তবে, তনুর পরিবার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে ভিত্তিহীন ও অসংলগ্ন অভিযোগ করা হয়েছে যাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবার অবকাশ রয়ে যাচ্ছে। সেনানিবাসের অভ্যন্তরে বসবাসরত অন্যান্য সকল পরিবারের মতই তনুর পরিবারকে সব রকম সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। তাদের স্বাধীন চলাচলের কোন বিঘœ সৃষ্টি করা হয়নি। হত্যাকান্ডের পর প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তা ও তদন্তের স্বার্থে তাদের বসবাস এলাকায় প্রহরী নিয়োগ করা হলেও পরবর্তীতে তা নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি সাপেক্ষে তুলে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, সেনানিবাস নিরাপত্তার স্বার্থে সেনানিবাসের অভ্যন্তরে গমনাগমনের জন্য সবাইকে পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই সামরিক রীতি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে হেয় করা বা কারো ব্যক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য নয়।
৩। তনুর পিতা জনাব ইয়ার হোসেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের একজন কর্মরত সদস্য যিনি অন্যান্য সকলের মতই সেনানিবাসের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা পাচ্ছেন। তাকে বাস বা মোটর সাইকেল চাপা দিয়ে হত্যা প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ একটি ধারনা প্রসূত ব্যাপার যে ব্যাপারে তনুর পরিবার কাউকেই এ পর্যন্ত কোন কিছু অবগত করেনি। এই ব্যাপারে জনাব ইয়ার হোসেনকে তার উপরস্থ কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) যিনি বেসামরিক প্রশাসন হতে প্রেষণে নিয়োজিত একজন প্রথম শ্রেনীর সরকারি কর্মকর্তা, জিজ্ঞাসাবাদ করলে জনাব ইয়ার হোসেন নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হন। তাছাড়া তিনি এব্যাপারে এতদিনে সেনা কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারী কাউকেই অভিযোগ করেনি যা গুরুত্ব বিবেচনায় অসংলগ্ন প্রতিপন্ন হয়।
৪। তনুর পরিবার সেনাবাহিনীর অন্যান্য সকল পরিবারের মত এখনো সেনানিবাসের ভেতরে বসবাস করছেন। সেনা কর্তৃপক্ষ তনু হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তসহ তনুর শোকাহত পরিবারকে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধ পরিকর।