চট্টগ্রাম, সেপ্টেম্বর ২৫ ঃ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যার্থে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ত্রাণ-সামগ্রী আনলোড ও ডেসপাসে সাহায্য করছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।
ত্রাণ কাজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটির সিনিয়র ট্রাফিক কন্ট্রোল অফিসার উইং কমান্ডার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রধান সমন¦য়কারী করে একটি ত্রাণ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (আরএমসি) গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় ঘাঁটির সদস্যরা তাদের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে সমন¦য়পূর্বক চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ত্রাণ-সামগ্রী আনলোড এবং পরিবহণের কাজে সহায়তা করে যাচ্ছে।
ত্রাণ-সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, আটা, লবণ, মাছ, বিস্কুট, চকলেট, নারকেল তেল, জেনারেটর, ফ্যামিলি কিট, লুঙ্গি, ঔষধ, পাউডার দুধ, চিনি, খেজুর, তাবু, কম্বল, তৈরী পোষাক ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে, গত ০৯ সেপ্টেম¦র ২০১৭ তারিখ থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ-সামগ্রী আসতে থাকে। এ পর্যন্ত মরক্কো, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া ও সৌদি আরব থেকে ১৬টি বিমানযোগে ৪৬৭.৬৬ টন ত্রাণ-সামগ্রী চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে।
এছাড়া বিমান বাহিনীর সদস্যরা বিমানবন্দরে আসা ত্রাণ-সামগ্রী রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ওয়্যার হাউসের ব্যবস্থা করেছেন। বিমানবন্দর এলাকায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে সেনাবাহিনীর কাছে ত্রাণ-সামগ্রী হস্তান্তর করছেন বিমান বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ২৩ সেপ্টেম¦র ২০১৭ তারিখ মালয়েশিয়া থেকে আগত ত্রাণবাহী এএন-১২৪ পরিবহণ বিমানটির অবতরণ সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় গ্রাউন্ড সাপোর্ট না থাকা সত্তে¦ও বিমানটিকে সফলতার সহিত অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে থাকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।