ঢাকা, ০৫ নভেম্বর ২০২০ (বৃহস্পতিবার)ঃ নবগঠিত সিলেট সেনানিবাসকে পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস হিসেবে প্রতিষ্ঠার আরেকটি ধাপ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (০৫-১১-২০২০) চারটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান ১৭ পদাতিক ডিভিশন, সিলেট সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, এসবিপি, বিএসপি, বিজিবিএম, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, পিএসসি, জি।
অনুষ্ঠানস্থলে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার, সিলেট এরিয়া মেজর জেনারেল মুহাম্মদ জুবায়ের সালেহীন তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। অতঃপর প্যারেড কমান্ডার মেজর জহিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত চৌকষ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৭৫ ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স, ২ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন এবং অর্ডন্যান্স ডেপো, সিলেট এর পতাকা উত্তোলন করেন সেনাবাহিনী প্রধান এবং উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাবৃন্দ।
১৭ পদাতিক ডিভিশন ও সিলেট অঞ্চলের চারটি ইউনিট এর নবযাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়ন রূপকল্প ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক সংযোজিত হলো।
সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যের শুরুতেই শ্রদ্ধার সাথে সরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে যার একক নেতৃত্বে সূচিত হয়েছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম। একই সাথে তিনি স্মরণ করেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আতোৎসর্গকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যে কোন প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমুহকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান পতাকা উত্তোলন প্যারেডে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তিনি আরোও বলেন, একই ধারায় ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় যে কোন প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি সেনাবাহিনীর সকলকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশমাতৃকার যে কোন প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে নির্দেশনা প্রদান করেন। পরিশেষে সেনাবাহিনী প্রধান পতাকা উত্তোলন উপলক্ষ্যে একটি সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উধর্¡তন সেনাকর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।