ঢাকা ০৯ আগস্ট ২০১৬:- বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য চীনের উচাং শীপ ইয়ার্ডে নির্মিত হচ্ছে দুটি আধুনিক করভেট ক্লাস যুদ্ধজাহাজ। এ উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (০৯-০৮-২০১৬) স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টায় নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি নৌবাহিনীর জন্য নির্মিতব্য এই যুদ্ধজাহাজ দুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন (স্টিল কাটিং) করেন। এসময় চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশী দূতাবাসের ডিফে›স এ্যাটাশে নাসিম আক্তার, চায়না শীপ বিল্ডিং এন্ড অফশোর কোম্পানির প্রেসিডেন্ট ইয়াং ঝিগাং (Yang Zhigang), বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও চীনের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নির্মাণাধীন আধুনিক যুদ্ধজাহাজ (করভেট) দুইটির প্রতিটি দৈর্ঘ্যে ৯০ মিটার ও প্রস্থে ১১ মিটার যার ওজন প্রায় এক হাজার ৩৫০ টন। জাহাজদুটি ঘন্টায় ২৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম হবে। প্রতিটি জাহাজে থাকবে মেরিটাইম হেলিকপ্টার বহনের জন্য হেলিপ্যাড। তাছাড়া জাহাজ দুইটিতে আরও থাকবে শত্র“ জাহাজ ধ্বংসকারী সারফেস টু সারফেস মিসাইল, শত্র“ বিমান ধ¡ংসকারী সারফেস টু এয়ার মিসাইল এবং ৭৬ মিলিমিটার ও ৩০ মিলিমিটার আধুনিক গান। আগামী ২০১৯ সাল নাগাদ যুদ্ধজাহাজ দুইটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়। যুদ্ধজাহাজ দুটি নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির ফলে বাংলাদেশের বর্ধিত সমুদ্রসীমায় সার্বক্ষণিক নজরদারী ও উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, চোরাচালান রোধ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি জাহাজ দুটি বাংলাদেশের জলসীমায় মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করবে।
যুদ্ধজাহাজ দুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে নৌবাহিনী প্রধান উচাং শীপ ইয়ার্ড সদর দপ্তর এবং চায়না শীপ ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার পরিদর্শন করেন। এছাড়া তিনি চায়না শীপ বিল্ডিং এন্ড অফশোর কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মত-বিনিময় করেন। নৌপ্রধান আগামী ১২ আগস্ট ২০১৬ তারিখে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যায়।