Home » বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিশ্রুতির কথা পুনঃব্যক্ত করেছেন নৌবাহিনী প্রধান

বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিশ্রুতির কথা পুনঃব্যক্ত করেছেন নৌবাহিনী প্রধান

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫: বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান দক্ষিণ সুদান সফরকালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ‘ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদান (আনমিস)’-এ নিয়োজিত ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট’ এর সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে এ প্রতিশ্রুতির কথা পুনঃব্যক্ত করেন।

এ সময় নৌবাহিনী প্রধান বলেন, ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফোর্স মেরিন ইউনিট উক্ত মিশনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে, যা দক্ষিণ সুদানের জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরেছে। নৌবাহিনীর সদস্যরা সুদানের প্রত্যন্ত এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, জ্বালানী, ঔষধপত্র ও মানবিক সাহায্য বহনকারী বার্জসমূহের নিরাপদ চলাচলের নিশ্চয়তা বিধান করে। সেইসাথে নৌপথে জলদস্যুতা পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ, অগ্নিনির্বাপণে স্থানীয় জনগণকে সহায়তা প্রদান এবং আহত সামরিক-অসামরিক ব্যক্তিদের উদ্ধার ও জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ ডুবুরি সহায়তা প্রদানের কাজ করছে। তিনি বলেন, দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত মেরিন ইউনিট ছাড়াও, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অনেক কর্মকর্তা ও নাবিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পর্যবেক্ষক, স্টাফ অফিসার এবং কন্টিনজেন্ট সদস্য হিসেবে গর্বের সাথে কাজ করছেন। শান্তি, নিরাপত্তা, মানবিক মর্যাদা ও মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গৃহীত কার্যক্রম দক্ষিণ সুদানের জন্য একটি উজ্জ্বল ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

নৌবাহিনী প্রধান বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং অনন্য সুনাম অর্জন করেছেন। এরই ফলে ২০১০ সালে, লেবাননের ভূ-মধ্যসাগরে জাতিসংঘ মেরিটাইম টাস্ক ফোর্সের আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুইটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ বানৌজা সংগ্রাম লেবাননে নিয়োজিত থেকে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের জন্য গৌরব ও সম্মান বয়ে আনছে। নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের অধীনে আরও জাহাজ এবং বিশেষায়িত ইউনিট মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। জাতিসংঘের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে এবং বিশ্ব মানবতার উন্নয়নে অবদান রাখতে নৌবাহিনী সদা সচেষ্ট। নৌবাহিনী প্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত সশস্ত্র বাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের অভিনন্দন জানান এবং তাদের সাফল্য কামনা করেন। সেইসাথে তিনি শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দক্ষিণ সুদানের জনগণের প্রতি শুভকামনা জানান।

এর আগে দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফোর্স মেরিন ইউনিটের একটি চৌকস দল নৌবাহিনী প্রধানকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। তিনি গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। দক্ষিণ সুদানে অবস্থানকালে নৌবাহিনী প্রধান ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদানে নিয়োজিত সেক্রেটারি জেনারেল এর বিশেষ প্রতিনিধি (এসআরএসজি), সাউথ সুদানের চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ফোর্স কমান্ডার এবং পরিচালক মিশন সাপোর্ট (ডিএমএস) এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া নৌবাহিনী প্রধান উক্ত মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (ব্যানসেক) পরিদর্শন ও সেখানে কর্মরত শান্তিরক্ষী সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট