ঢাকা, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (রবিবার) ঃ যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, এসবিপি (বার), বিএসপি, বিজিবিএম, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, পিএসসি, জি, মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল ম্যাক কনভিলসহ (MC Conville) উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাগণের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা পরিদর্শন করেন। উল্লেখযোগ্য সামরিক স্থাপনাসমূহের মধ্যে রয়েছে ইউএস আর্মি সাইবার কমান্ড, ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কমান্ড, ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড (TRADOC), ম্যানুভার সেন্টার অব এক্সিলেন্স, জরজিয়া এবং জয়েন্ট রেডিনেস ট্রেনিং সেন্টার (JRTC), লুসিয়ানা।
সফরকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, অফিস অব দ্যা সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পলিসি-সাউথ এন্ড সাউথইস্ট এশিয়া এবং ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সির প্রতিনিধির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যকার পারস্পরিক সহযোগিতামূলক বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতো বাংলাদেশের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান আশা প্রকাশ করেন। বিশেষভাবে, বঙ্গবন্ধু হত্যার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রাশেদ চৌধুরীকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার মার্কিন সেনাপ্রধানের পক্ষ হতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে দুই দেশের সেনাপ্রধানের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক বিভিন্ন বিষয় ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের মধ্যে মিলিটারি এক্সপার্ট এক্সচেঞ্জ, জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের মোতায়েন এবং কাউন্টার টেরোরিজম ও সাইবার ওয়ারফেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর সহযোগিতার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। ভবিষ্যতে মার্কিন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সামরিক প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান আশা প্রকাশ করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান এই সপ্তাহে জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন।