ঢাকা, ০৫ মে ২০২১ঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন কর্তৃক পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ কক্সবাজারের রামুতে অবস্থিত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক (এফডিএমএন) ক্যাম্পে অবস্থিত পরিবারগুলোর জন্য ১০ কেজি চাল এবং দৈনন্দিন ব্যবহার্য দ্রব্যাদি প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে গত ২৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে ক্যাম্প ৮ (ওয়েষ্ট) এর সর্বমোট ১৫৭৬ জনের মধ্যে উল্লেখিত ত্রাণ বিতরণ করার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে গত ০২ মে ২০২১ তারিখ ২৬৫২ রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায়, ০৪ মে ২০২১ তারিখ, বালুখালী আর্মি ক্যাম্পের আওতাধীন রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-৯ এ ১০ পদাতিক ডিভিশনের ৬৫ পদাতিক ব্রিগেডের অধীনস্থ ৬৩ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ব্যবস্থাপনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫৯৮৭ রোহিঙ্গা পরিবারকে পরিবার প্রতি ১০ কেজি চাল ও দৈনন্দিন ব্যবহার্য দ্রব্যাদি বিতরণ করা হয়।
উক্ত ত্রাণ কার্যক্রমের আওতায় অদ্যাবধি ১০,২১৫ ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা পরিবারকে সর্বমোট ১০০ মেট্রিক টন চাল ও অন্যান্য দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের রামুতে অবস্থিত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক (এফডিএমএন) ক্যাম্প ৮(ইষ্ট), ৮(ওয়েষ্ট) এবং ক্যাম্প ৯ এ গত ২২ মার্চ ২০২১ তারিখ আনুমানিক ১৫০০ ঘটিকায় ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। এ অগ্নি দুর্ঘটনায় ক্যাম্প ৮(ইষ্ট) এ ১৫৭৮ টি, ক্যাম্প ৮ (ওয়েষ্ট) এ ২৬৫২ টি এবং ক্যাম্প ৯ এর ৫৯৮৭ টি ঘরবাড়ি ভষ্মিভূত হয়। এছাড়া ১৫ জন নিহত হয় বলে জানা যায়। অগ্নিকা-ের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন, রামু সেনানিবাসের অধীন উখিয়া, বালুখালী এবং পালংখালী আর্মি ক্যাম্পসমূহ অগ্নি নির্বাপনের প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে রামু সেনানিবাস থেকে ফায়ার ব্রিগেডের একটি দল মেডিক্যাল টিম সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।