বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ারফোর্স এর যৌথ অনুশীলন মহড়া ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ সমাপ্ত

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ারফোর্স এর যৌথ অনুশীলন মহড়া ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ সমাপ্ত

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫:- সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে ০৬ দিনব্যাপী ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’শীর্ষক যৌথ অনুশীলন গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বৃহস্পতিবার) তারিখে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল  হক এ সমাপ্ত হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস জাভেদ তানভীর খান, ওএসপি, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, এসিএসসি, পিএসসি সমাপনী বক্তব্য রাখেন এবং দুই দেশের অংশগ্রহণকারীদের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দুতাবাসের প্রতিনিধিগণ, যুক্তরাষ্ট্র প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত মহড়া বিগত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বিমান বাহিনী ঘাঁটি  জহুরুল  হক এ শুরু হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছরই নানাবিধ প্রশিক্ষণমূলক অনুশীলন পরিচালনা করে আসছে।  বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা ও আপদকালীন সংকট নিরসণে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর  হেলিকপটার ও পরিবহণ বিমানসমূহ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’- এ মূলত আপদকালীন এবং প্রতিকূল অবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপটার ও পরিবহন বিমানগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরণের অনুশীলন পরিচালনা করা হয়। ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’- এ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, একটি এম আই-১৭ হেলিকপ্টার এবং প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের দুইটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫০ জন সদস্য এবং ইউএস প্যাসিফিক এয়ারফোর্স এর ৯২ জন সদস্য অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যগণ উক্ত মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন।

এই যৌথ অনুশীলনের মাধ্যমে দুই দেশের বিমান বাহিনী শুধু পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ই করবে না, বরং আন্তঃকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার, এবং আস্থা ও বিশ্বাসের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি বিমান বাহিনীর চিকিৎসা, প্রকৌশল ও লজিস্টিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্থানীয় জনগণকে সেবা প্রদান দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও মানবিক ও স্থিতিশীল ভিত্তি প্রদান করবে।

সম্পর্কিত পোস্ট