ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর ঃ- বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত ৩টি কন্টিনজেন্টের মোট ৩৫৮ জন শান্তিরক্ষী প্রতিস্থাাপন করতে যাচ্ছে যার মধ্যে ১০ জন মহিলা কর্মকর্তা অন্তভুক্ত আছে। প্রতিস্থাাপন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর ২০২ জন সদস্য জাতিসংঘের ভাড়া করা বিমানে শুক্রবার (০১-১২-২০১৮) কঙ্গোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছে। কন্টিনজেন্টের বাকি সদস্যরা পর্যায়ক্রমে কঙ্গো যাবেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই কন্টিনজেন্টগুলো ইউটিলিটি এভিয়েশন ইউনিট-১৬, এয়ার ফিল্ড সার্ভিসেস ইউনিট-১৬ ও এয়ার ট্রান্সপোর্ট ইউনিট-৯ নিয়ে গঠিত যার নেতৃত্বে থাকবেন যথাক্রমে এয়ার কমডোর এস এম মূয়ীদ হোসেন, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোঃ রেয়াদাদ হোসেন, বিইউপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন মাহমুদ মেহেদী হুসেইন, পিএসসি।
উল্লেখ্য, কঙ্গোয় বিবদমান সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সে দেশের সরকার এবং আপামর জনসাধারণের আস্থাা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তাঁদের অর্জিত এ সুনাম ও সাফল্য অক্ষুন্ন রেখে শান্তিরক্ষীরা ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে যেন আরো উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারে, এ কামনা করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এক মোনাজাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বিমান বন্দরে উপস্থিাত থেকে তাদেরকে বিদায় জানান।
এর আগে ২৯ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি কঙ্গোগামী বিমান বাহিনী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশে ঘাঁটি বাশার-এ ব্রিফিং প্রদান করেন এবং মিশনের সাফল্য কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদেরকে সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার আহবান জানান।