ঢাকা, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ঃ- বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি বুধবার (২৬-০২-২০২০) বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু এর অর্ন্তগত ৩৫ স্কোয়াড্রন, ২০৫ রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট এবং শারীরিক যোগ্যতা স্কুল কে তাদের কর্তব্য নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ, ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পতাকা’ প্রদান করেন।
বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু এর প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে বিমান বাহিনী প্রধানকে স্বাগত জানান ঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক, এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ সাঈদ হোসেন, ওএসপি, বিএসপি, জিইউপি, এনডিসি, পিএসসি। পতাকা প্রদানের এই অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান বঙ্গবন্ধু ঘাঁটি আয়োজিত একটি মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন উইং কমান্ডার মোঃ শফিকুল হাসান খান, জিডি (পি)। বিমান বাহিনী প্রধান বাদক ও পতাকা বাহী দলের সমন্বয়ে একটি আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে ৩৫ স্কোয়াড্রন, ২০৫ রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট এবং শারীরিক যোগ্যতা স্কুল কে ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পতাকা’ হস্তান্তর করেন। বিমান বাহিনী পতাকা হস্তান্তরের পর বিমান বাহিনী প্রধান মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি বিমান বাহিনীর সকল স্তরের সদস্যদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যে তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানসহ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের, যাদের আত্বত্যাগ এবং রক্তের বিনিময়ে আমরা লাভ করেছি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। এছাড়াও তিনি বিমান বাহিনীর ৩৫ স্কোয়াড্রন, ২০৫ রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট এবং শারীরিক যোগ্যতা স্কুলএর গৌরবোজ্জল ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের প্রতিরক্ষায় ৩৫ স্কোয়াড্রনের সক্ষমতার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সকল ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং মাননিয়ন্ত্রণে ২০৫ রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট এর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি বিমান বাহিনীর সদস্যদের শারীরিক যোগ্যতা বজায় রাখাসহ ক্রীড়া ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানে শারীরিক যোগ্যতা স্কুল এর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের প্রশংসা করেন।
বিমানবাহিনীর পতাকা অর্জনকারী স্কোয়াড্রন এবং ইউনিটের প্রতিটি সদস্যকে বিমানবাহিনী প্রধান অভিনন্দন জানান এবং বিমান বাহিনীর সম্মানের প্রতীক হিসেবে প্রদানকৃত কালার এর মর্যাদা ও সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে বলেন। পরিশেষে একটি মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও বর্ণিল আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু এর সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরবর্তীতে তিনি পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণ এবং বিমান বাহিনীর অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে চলেছে এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু সর্বক্ষেত্রেই এই সব কার্যক্রমে নিয়মিত ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। দৈনন্দিন কার্যক্রমের পাশাপাশি এই ঘাঁটি বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করণ, সেনা, নৌ ও অন্যান্য বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং অসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। অত্র ঘাঁটিরবিভিন্ন কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরূপবিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুকে ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এইসবইউনিট ও স্কোয়াড্রনসমুহ কে বিমান বাহিনী পতাকা প্রদান করা হয়।